মল্লিকার্জুন খাড়গে
দীর্ঘ দুই দশক পর ভারতের ইতিহাসে গান্ধী পরিবারের বাইরে দেশটির পুরনো রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের নতুন সভাপতি হয়েছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী শশী থারুরকে বড় ব্যবধানেই হারিয়েছেন তিনি।
গত সোমবার ভারত জুড়ে ৩৬ কেন্দ্রের ৬৭টি বুথে ভোটগ্রহণ হয়। এতে প্রতিপক্ষ শশী থারুরকে বিপুল ভোটে হারিয়ে দেন তিনি। বুধবার ভোটের ফলপ্রকাশে দেখা যায়, ৯ হাজার ৩৮৫ ভোটের মধ্যে সাত হাজার ৮৯৭ ভোট পেয়ে প্রতিপক্ষ শশী থারুরকে পরাজিত করেছেন খাড়গে। শশী থারুর পেয়েছেন মাত্র এক হাজার ৭২ ভোট। বাতিল হয়েছে ৪১৬টি ভোট।
এখন সোনিয়া গান্ধীর কাছ থেকে কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব বুঝে নেবেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। ২০১৯ সালে রাহুল গান্ধী পদত্যাগের পর থেকে মা সোনিয়া গান্ধী অন্তবর্তীকালীন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। জাতীয় নির্বাচনে পরাজয়ের দায় মাথায় নিয়ে পদত্যাগ করেন রাহুল।
মল্লিকার্জুনের জন্ম খড়গে কর্ণাটকের বিদর জেলার ভালকি তালুকের ভারাওয়াট্টিতে। ১৯৪২ সালের ২১ জুলাই মাপান্না খাড়গেও সাবভার ঘর আলো করে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
তিনি গুলবার্গার নতুন বিদ্যালয় থেকে স্কুলের পড়াশোনা শেষ করেন। গুলবার্গার সরকারি কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। গুলবার্গার শেঠ শঙ্করলাল লাহোটি আইন কলেজ থেকে আইন ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৩ মে ১৯৬৮ সালে রাধাবাইকে বিয়ে করেন। তাদের ঘরে দুটি কন্যা ও তিনটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
তিনি বিচারপতি শিবরাজ পাতিলের অফিসে একজন জুনিয়র হিসাবে পেশা শুরু করেছিলেন। তার কর্মজীবনের প্রথম দিকে শ্রমিক সংগঠনগুলির জন্য মামলা করে আলোচনায় আসেন তিনি।
খাড়গে গুলবার্গার সরকারি কলেজে ছাত্র ইউনিয়নের নেতা হিসেবে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন যখন তিনি ছাত্র সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৯ সালে তিনি এমএসকে মিলস এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের আইনি উপদেষ্টা হন। তিনি সম্মিলিত মজদুর সংঘের একজন প্রভাবশালী শ্রমিক ইউনিয়ন নেতাও ছিলেন। শ্রমিকদের অধিকারের জন্য অনেক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
১৯৬৯ সালে, তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে যোগদান করেন। গুলবার্গ নগর কংগ্রেস কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন।
তিনি কর্ণাটকের একজন সিনিয়র রাজনীতিবিদ এবং কর্ণাটক বিধানসভায় বিরোধী দলের নেতা ছিলেন। ২০০৮ সালের কর্ণাটক রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের সময় কর্ণাটক প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি ছিলেন।
এসআর