ইলন মাস্ক
বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ইস্যুতে সম্প্রতি বিতর্কে জড়িয়েছেন। ‘শান্তি পরিকল্পনা’ নিয়ে টুইট করার পর থেকেই চলছে তার সমালোচনা। এবার তিনি আরও একটি বিস্ফোরক মন্তব্য করে সব সমালোচনাকে ছাড়িয়ে গেলেন। । তিনি বলেছেন, ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে পারমাণবিক বোমা হামলা চালিয়ে ৩০ মিনিটেরও কম সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপকে ধ্বংস করার সক্ষমতা রয়েছে রাশিয়ার।
গত ১৫ অক্টোবর ইলন মাস্কের এক অনুসারী তার অ্যাকাউন্টে রয়টার্সের একটি প্রতিবেদন টুইট করেন। রয়টার্সের ওই প্রতিবেদনে সোমবার থেকে বি–৫২ বোমারু বিমানে করে ন্যাটোর পারমাণবিক অস্ত্রের মহড়া শুরুর কথা জানানো হয়। টুইটটি রিটুইট করে ইলন মাস্ক রাশিয়ার পারমাণবিক সক্ষমতা নিয়ে এমন মন্তব্য করেন।
ইলন মাস্ক লেখেন, ‘রাশিয়া ৩০ মিনিটেরও কম সময়ে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। এই সক্ষমতা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপেরও আছে। বিষয় হচ্ছে, বেশির ভাগ মানুষই এটা জানেন না’।
এরপর টুইটটি রিটুইট করে ইলন মাস্ক আরও বলেন, ‘কিন্তু অবশ্যই কোনো দায়িত্ববান ব্যক্তি পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু করবেন না। তবে আমাদের যদি দায়িত্ববান ব্যক্তি থাকতেন, তাহলে যুদ্ধ আমাদের অগ্রাধিকার তালিকায় থাকতো না। গত ৬০ বছরের মধ্যে আমরা পারমাণবিক যুদ্ধের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছি’।
এর আগে তাইওয়ান ও চীনের মধ্যে চলমান উত্তেজনা প্রশমনে বিকল্প পথ দেখিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন বেইজিংয়ের।
সম্প্রতি ‘শান্তি পরিকল্পনা’ নিয়ে ইলন মাস্কের টুইট ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলার বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। দ্যা ইন্ডিপেন্ডেন্টের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল এসব তথ্য। এই প্রতিবেদনে ইয়ান ব্রেমার নামে এক ব্যক্তিকে সূত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তবে এমন তথ্য অস্বীকার করেন ইলন মাস্ক। ইলন মাস্ক এক টুইটার বার্তায় জানান, তিনি পুতিনের সঙ্গে ১৮ মাস আগে কথা বলেছিলেন। আর তখন কথা বলার বিষয়টি ছিল মহাকাশ স্পেস নিয়ে।
সম্প্রতি টেসলার সিইও তার ১০৭ দশমিক ৭ মিলিয়ন ফলোয়ারকে ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধানের উপায়ে ভোট দিতে বলেন। পরামর্শগুলোর মধ্যে রাশিয়ার দখলে থাকা ইউক্রেনের কিছু অংশে ভোট রাখার একটি প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত ছিল, যা ক্রেমলিন দাবি করে যে তারা এটি সংযুক্ত করেছে। তার মন্তব্যকে স্বাগতও জানায় মস্কো।
টিএস