ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

খবর এএফপি, বিবিসির 

ব্যঙ্গধর্মী লেখায় বুকার পুরস্কার পেলেন শ্রীলঙ্কান লেখক 

প্রকাশিত: ১৩:১০, ১৮ অক্টোবর ২০২২

ব্যঙ্গধর্মী লেখায় বুকার পুরস্কার পেলেন শ্রীলঙ্কান লেখক 

নিজের দ্বিতীয় উপন্যাস ‘দ্য সেভেন মুনস অব মালি আলমেইদা’ বইয়ের জন্য এই পুরস্কার পেয়েছেন শেহান করুণাতিলাকা

শ্রীলঙ্কার লেখক শেহান করুণাতিলাকা তার লেখা অপার্থিব ব্যঙ্গধর্মী ‘দ্য সেভেন মুনস অব মালি আলমেইদা’ বইয়ের জন্য ২০২২ সালে ব্রিটেনের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ বুকার পুরস্কার- ২০২২  জিতেছেন।   

মূলত শ্রীলঙ্কায় সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের মধ্যে একজন সাংবাদিককে হত্যার বিষয়ে এই বইটি রচনা করেন করুণাতিলাকা। মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি এবং সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিজের দ্বিতীয় উপন্যাস ‘দ্য সেভেন মুনস অব মালি আলমেইদা’ বইয়ের জন্য এই পুরস্কার পেয়েছেন শেহান করুণাতিলাকা। এতে তিনি ‘মৃত এক ওয়ার ফটোগ্রাফারের’ পরকালের মিশনের গল্প বলেছেন।

সোমবার যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ কুইন কনসর্ট ক্যামিলার কাছ থেকে পুরস্কারের ট্রফি গ্রহণ করেন করুণাতিলাকা। এছাড়াও তিনি ৫৬ হাজার মার্কিন ডলার আর্থিক পুরস্কার লাভ করেন।

সংবাদমাধ্যম বলছে, করোনা মহামারির কারণে ২০১৯ সালের পর এই প্রথম বুকার পুরস্কারের অনুষ্ঠানে স্বশরীরে উপস্থিত হয়েছিলেন সবাই। করুণাতিলাকার উপন্যাসটি ১৯৮০-র দশকের শেষের দিকে গৃহযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে লেখা। একদিন ঘুম থেকে উঠে এক সমকামী ওয়ার ফটোগ্রাফার এবং জুয়াড়ি মালি আলমেইদা দেখে যে- তারা মৃত। তবে মৃত্যুর পরও মালির কাজ শেষ হয়নি। সে তার ভালোবাসার মানুষকে দেশের সংঘর্ষের হৃদয়বিদারক ছবি দেখাতে চায়।

বুকার পুরস্কার গ্রহণ করার পর করুণাতিলাকা বলেন, ‘শ্রীলঙ্কা বুঝতে পেরেছে, এই দুর্নীতি, জাতি প্রলোভন এবং স্বজনপোষণের ধারণাগুলো কাজ করেনি এবং কখনোই কাজ করবে না’। নিজের উপন্যাসকে ‘কল্পনা’ বলে আখ্যা দেন লেখক। একইসঙ্গে বইটিকে রাজনৈতিক আখ্যা দিতেও নারাজ তিনি।

মূলত যুক্তরাজ্য থেকে প্রকাশিত ইংরেজি ভাষার উপন্যাসের জন্য দেওয়া হয় বুকার পুরস্কার। যার মূল্যমান ৫০ হাজার পাউন্ড (৫৬ হাজার মার্কিন ডলার)। 

৪৭ বছর বয়সী করুণাতিলাকা মর্যাদাপূর্ণ বুকার পুরস্কারজয়ী দ্বিতীয় শ্রীলঙ্কান। এর আগে ১৯৯২ সালে ‘দ্য ইংলিশ পেশেন্ট’ বইয়ের জন্য মাইকেল ওন্ডাতজে নামে এক শ্রীলঙ্কান লেখক প্রথম এই পুরস্কার জিতেছিলেন।

টিএস

সম্পর্কিত বিষয়:

×