গ্রামীণ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণে ইউক্রেনীয় সেনাদের
চারটি প্রদেশ দখলের ঘোষণা দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন। আর তার একদিন পরই দোনেস্কের লাইমান শহর পুনর্দখল করেছে ইউক্রেন। রুশ সৈন্যদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেললে তারা পশ্চাদপসরণ করে। যেটি রাশিয়ার জন্য খুবই অপমানকর বলে জানানো হয়েছে। ফলে এটি বাকি প্রদেশ মুক্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপে সহায়ক হবে বলে প্রত্যাশা ইউক্রেনের।
টেলিগ্রামে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় শনিবার বলেছে, পশ্চিমা দ্বারা অবৈধ ঘোষণা করা অঞ্চলটি মস্কোর সংযুক্তির ঠিক একদিন পরে রাশিয়ান বাহিনী পূর্বে তাদের অভিযানের জন্য কৌশলগত কারণে লাইমান শহর থেকে পিছু হটেছে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম রাশিয়া টুয়েন্টিফোর জানিয়েছে, রাশিয়ার সৈন্য প্রত্যাহারের কারণ হলো- শত্রুরা কামান এবং উত্তর আটলান্টিক জোটের দেশগুলির গোয়েন্দা উভয়ই ব্যবহার করেছিল।
গত শনিবার পুতিন ঘোষণার সময় জানান, তাদের রাশিয়ার পারমাণবিক ছাতার নীচে রেখেছিলেন ইউক্রেনের ওই প্রদেশগুলো। একটি অনুষ্ঠানে কিয়েভ এবং পশ্চিমা দ্বারা একটি অবৈধ প্রহসন হিসাবে নিন্দা করা হয়েছিল।
ইউক্রেন প্রথমে এই অঞ্চলে হাজার রুশ সৈন্যকে ঘিরে রাখে এবং তারপরে তার বাহিনী শহরের অভ্যন্তরে অবস্থান করার পরে রাশিয়ান বিবৃতিটি কয়েক ঘণ্টা আনুষ্ঠানিক নীরবতার অবসান ঘটায়।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী টুইটারে লিখেছেন, লাইমানে প্রায় সকল রাশিয়ান সেনাদের হয় বন্দী করা হয়েছে বা হত্যা করা হয়েছে।
সূত্র: সিএনএন, আলজাজিরা।
এমএইচ