ভূমিকম্পের কারণে ক্ষতি
ইরানের দক্ষিণাঞ্চলে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আহত হয়েছে ১২ জন। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার ভোররাতে দেশটির হরমোজগান প্রদেশে ভূকম্পন অনুভূত হয়।
এর কিছুক্ষণ পরেই আরো দুটি ভূমিকম্প আঘাত হানে ওই এলাকায়, যার সর্বোচ্চ মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৩।
হরমোজগান প্রদেশের জরুরি ব্যবস্থাপনা প্রধান জানিয়েছেন প্রাণহানির ঘটনা মূলত প্রথম ভূমিকম্পের সময়েই হয়েছে। পরের দুটি ভূমিকম্পের সময় মানুষজন বাইরে থাকায় তেমন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এছাড়া অঞ্চলটিতে উদ্ধার কার্যক্রম চলছে বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে, এর পাশাপাশি মধ্যেপ্রাচ্যের বেশকিছু দেশেও ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে বলে জানা গেছে। মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার দিবাগত রাতে ইরানে যে ভূমিকম্প হয়েছে, তার কম্পন সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, বাহরাইন, ওমান, কাতার, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানেও অনুভূত হয়েছে।
এক বিবৃতিতে ইউরোপের ভূমিকম্প গবেষণা সংস্থা ইউরোপিয়ান মেডিটেরেনিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার (১ জুলাই) রাত ১টা ৩২ মিনিটে দিকে আঘাত হানে প্রথম ভূমিকম্পটি। হরমোজগান প্রদেশের বন্দর খামির শহরের কাছে ভূ-পৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল এই ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল।
ভূগর্ভের টেকটোনিক প্লেটের কয়েকটি প্রধান ফল্ট লাইনের ওপর অবস্থান হওয়ায় ইরানে প্রায় নিয়মিতই ক্ষুদ্র বা মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হয়। তবে গত কয়েক দশকে বেশ কিছু প্রাণঘাতী ভূমিকম্পও দেখেছে দেশটি।
কিছুদিন আগেই আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে আঘাত হেনেছিল ৫ দশমিক ৯ মাত্রার প্রবল ভূমিকম্প। এতে পাকিস্তানে তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া না গেলেও আফগানিস্তানে প্রাণ হারান এক হাজারের বেশি মানুষ।
ভূমিকম্পটিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশ। সেখানে তিন হাজারের বেশি ঘরবাড়ি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়। এতে হতাহত হন আড়াই হাজারের বেশি লোক।