তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েনের জাতীয় দিবসের ভাষণ সংঘাত উস্কে দিচ্ছেন এবং সত্যকে বিকৃত করছেন বলে এর নিন্দা জানিয়েছে চীন সরকার। চীনের তাইওয়ান বিষয়ক অফিস রবিবার বলেছে, তাইওয়ান স্বাধীন হতে চাওয়ার কারণে আলোচনার দ্বার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এর আগে রবিবারেই স্বশাসিত দ্বীপ তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন বলেছিলেন, তারা বেজিংয়ের চাপে নত হবেন না।
তাইওয়ানকে ঘিরে উত্তেজনার মধ্যেই সাই ইং ওয়েন বলেন, তাইওয়ান তার গণতান্ত্রিক জীবনধারা অব্যাহত রাখবে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ‘পুনরেকত্রীকরণ সম্পন্নের’ অঙ্গীকারের পরদিনই তাইওয়ানের জাতীয় দিবসে দেয়া ভাষণে সাই এসব কথা বলেন। এরপরই পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়ে চীনের তাইওয়ান বিষয়ক অফিস সাইয়ের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, ‘তার বক্তব্য সংঘাত উস্কে দিচ্ছে, ইতিহাসকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে এবং বাস্তব সত্য বিকৃত হচ্ছে।’ সাইয়ের ক্ষমতাসীন পার্টির নাম উল্লেখ করে চীনের তাইওয়ান অফিস বলেছে ‘ডেমোক্র্যাটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি কর্তৃপক্ষের স্বাধীনতার উস্কানি চীন-তাইওয়ান সম্পর্কে উত্তেজনা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, যা তাইওয়ান প্রণালীজুড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে।’ তাইওয়ান নিজেদের সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করলেও চীন দ্বীপটিকে দেখে নিজেদের ‘বিচ্ছিন্ন প্রদেশ’ হিসেবে। পুনরেকত্রীকরণের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে বল প্রয়োগের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়নি বেজিং। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, ‘চীনের জনগণের দৃঢ় প্রত্যয়, সদিচ্ছা এবং জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা সুরক্ষিত রাখার সক্ষমতাকে কারই খাটো করে দেখা উচিত নয়।’ কয়েকদিন আগেই চীন তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে রেকর্ড সংখ্যক জঙ্গী বিমান পাঠিয়েছে; তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টকে সতর্ক করতেই এসব বিমান পাঠানো হয় বলে ধারণা অনেক পর্যবেক্ষকের।
তবে রবিবার তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই তার ভাষণে বলেছেন, চীন যে পথ ঠিক করে দিয়েছে, তাইওয়ানকে তা মেনে নিতে বাধ্য করা যাবে না। বেজিংয়ের প্রস্তাবিত পথে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব নেই।
তিনি আরও বলেন, তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে চীনের সামরিক বিমানের প্রবেশে জাতীয় নিরাপত্তা ও বিমান চলাচল সংক্রান্ত নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হয়েছে। তাইওয়ান ‘তাড়াহুড়ো’ করবে না, তবে নিজেদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করবে।