অনলাইন ডেস্ক ॥ প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস অন্যদের মধ্যে ছড়ানোর দায়ে ভিয়েতনামে ২৮ বছর বয়সী এক যুবককে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। উক্ত যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ সে কোভিড-১৯ কোয়ারেন্টিনের কঠোর নিয়মকানুন লংঘন করেছে।
সোমবার দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ কা মাউ-এর জনতার আদালতে একদিনের বিচার শেষে লে ভান ত্রি’কে এ সাজা দেওয়া হয়, রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম ভিয়েতনাম নিউজ এজেন্সির (ভিএনএ) প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এমনটিই জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বিশ্বের যেসব দেশ এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস মহামারী মোকবেলায় সফলতার নজির রেখে চলেছে, ভিয়েতনাম তার একটি।
গণহারে শনাক্তকরণ পরীক্ষা, আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা, সীমান্তে কড়া বিধিনিষেধ ও কঠোর কোয়ারেন্টিনের মাধ্যমে তারা ভাইরাসের প্রকোপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে বলে মনে করা হয়।
তবে চলতি বছরের এপ্রিলের শেষ থেকে নতুন সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে দেশটির সফলতার রেকর্ড ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
‘ভান ত্রি হো চি মিন সিটি থেকে কা মাউ-এ এসে ভাঙেন ২১ দিনের কোয়ারেন্টিনের বিধিনিষেধ। ত্রি ৮ জনকে সংক্রমিত করেন, যাদের একজন একমাস চিকিৎসা নেওয়ার পরও ভাইরাসের কারণে মারা যান,” বলেছে ভিএনএ।
রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে এ প্রসঙ্গে কা মাউ-এর আদালতের মন্তব্য নিতে পারেনি। ভিয়েতনামের সর্বদক্ষিণের প্রদেশ কা মাউ মহামারী শুরুর পর এখন পর্যন্ত কেবল ১৯১ কোভিড-১৯ রোগী দেখেছে, মৃত্যু দেখেছে দুই জনের। এই সংখ্যা দেশটিতে করোনভাইরাসের কেন্দ্রস্থল বলে বিবেচিত হো চি মিন সিটি থেকে অনেক কম; ভিয়েতনামের সবচেয়ে বড় এ শহরে এ পর্যন্ত প্রায় দুই লাখ ৬০ হাজার মানুষের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে ১০ হাজার ৬৮৫ জনের।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে মারাত্মক প্রাদুর্ভাব মোকাবেলা করতে হচ্ছে। ভিয়েতনামে এ পর্যন্ত যে ৫ লাখ ৩৬ হাজারের বেশি কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে তার বড় অংশই পাওয়া গেছে গত কয়েক মাসে। ভাইরাস এখন পর্যন্ত দেশটির ১৩ হাজার ৩৮৫ জনের প্রাণও কেড়ে নিয়েছে।
ত্রি’কে যে যে অভিযোগে সাজা দেওয়া হয়েছে, একই অভিযোগে ভিয়েতনামে আরও দুইজনকে যথাক্রমে দেড় ও দুই বছরের স্থগিত কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।