অনলাইন ডেস্ক ॥ সারাবিশ্বে হাজার হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনাভাইরাস। এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা চীনে এবং সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে ইতালিতে।
তবে চীন এবং ইতালির পর এখন সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেশটিতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। দেশটিতে একদিনেই নতুন করে আরও ১১ হাজার ১৯২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। ফলে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬৬ হাজার ৪৮।
অপরদিকে, নতুন করে ১৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে দেশটিতে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে মোট ৯৪৪ জন। এছাড়া হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৯৪ জন।
যুক্তরাষ্ট্রের সবগুলো অঙ্গরাজ্যেই করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করে বলেছে, বৈশ্বিক মহামারির পরবর্তী কেন্দ্র হতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। অর্থাৎ ইতালির মতোই ভয়াবহ চিত্র হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনার কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্য। সেখানে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
সে কারণেই নিউ ইয়র্কে কড়াকড়ি আরোপ করেছে প্রশাসন। নিউ ইয়র্ক মেট্রো অঞ্চল থেকে বের হয়ে অন্য কোন অঙ্গরাজ্যে গেলে প্রত্যেককে ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, করোনা সঙ্কটে মার্কিন অর্থনীতি ও কোটি কোটি মানুষের জন্য দুই ট্রিলিয়ন ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজের একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে হোয়াইট হাউস এবং সিনেট।
করোনার কারণে দেশটির সঙ্কোচনশীল অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এই প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। মহামারির কবলে স্বাস্থ্য সেবা, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং মার্কিন সাধারণ জনগণকে সহায়তা করতে এই অর্থ বিশেষ সহায়ক হবে।
এছাড়া করোনায় বিপর্যস্ত এলাকার জনগণকে এই অর্থ সহায়তা দেয়া হবে। হাসপাতালের জন্য নেওয়া মার্শাল পরিকল্পনাতেই প্রণোদনার ১৩০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হবে।