ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

এশিয়ার ‘কয়লা আসক্তি’ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে: জাতিসংঘ প্রধান

প্রকাশিত: ০৩:৫১, ৩ নভেম্বর ২০১৯

এশিয়ার ‘কয়লা আসক্তি’ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে: জাতিসংঘ প্রধান

অনলাইন ডেস্ক ॥ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় এশিয়াকে কয়লার প্রতি ‘আসক্তি’ ছাড়তে হবে বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে এই অঞ্চলের দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মুখে আছে উল্লেখ করে উষ্ণতা বৃদ্ধি রোধ করার প্রচেষ্টায় এই দেশগুলোর ‘সামনের সারিতে’ থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। এশিয়ার দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বন্যার বিশেষ ঝুঁকির মুখে আছে, নতুন একটি গবেষণায় এমন তথ্য পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এশিয়ার অনেকগুলো দেশে কয়লা বিদ্যুৎ উৎপাদনের অন্যতম প্রধান উৎস বলে জানিয়েছে বিবিসি। শনিবার থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় গুতেরেস জলবায়ু পরিবর্তনকে ‘আমাদের সময়ের জন্য নির্ধারিত সমস্যা’ হিসেবে বর্ণনা করেন। এ সময় মঙ্গলবার প্রকাশিত এক গবেষণা ফলাফলের কথা উল্লেখ করেন তিনি। ওই গবেষণায় দেখা গেছে, আগে যা ভাবা হয়েছিল জলবায়ু পরিবর্তন তার চেয়েও বহু লক্ষ বেশি লোককে ২০৫০ সালের মধ্যে উপকূলীয় বন্যার ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে। যারা এই ঝুঁকির মধ্যে পড়বে তাদের অধিকাংশই এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোর বাসিন্দা। গুতেরেস বলেছেন, “লোকজন এই সংখ্যাগুলোর সঠিকতা নিয়ে আলোচনা করতে পারে, কিন্তু এই লক্ষণ যে দেখা দিতে শুরু করেছে তা পরিষ্কার।” এশিয়ায় এই ইস্যুটি ‘বিশেষভাবে সংবেদনশীল’ হওয়া সত্ত্বেও ‘প্রভাব ফেলার মতো সংখ্যার’ নতুন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। “কার্বনের ওপর মূল্য আরোপ করা দরকার আমাদের। জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর ভর্তুকি দেওয়া বন্ধ করতে হবে। ভবিষ্যতে নতুন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরিও বন্ধ করতে হবে আমাদের,” সতর্ক করে বলেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক সংবাদ সংগঠন ‘ক্লাইমেট সেন্ট্রাল’ মঙ্গলবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ১৯ কোটি লোক বসবাস করবে এমন এলাকাগুলো ২১০০ সালে পূর্ণ জোয়ার রেখার নিচে চলে যেতে পারে। গবেষেণায় দেখা গেছে, গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমণ হ্রাস মাঝারি ধরনের হলেও চীন, বাংলাদেশ, ভারত, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ড ২০৫০ সাল থেকে বার্ষিক উপকূলীয় বন্যার ঝুঁকিতে পড়বে। এতে এশিয়ার এই ছয়টি দেশের মোট ২৩ কোটি ৭০ লাখ লোক বিপদে পড়বে। এদের মধ্যে চীনের নয় কোটি ৩০ লাখ লোক, বাংলাদেশের চার কোটি ২০ লাখ, ভারতের তিন কোটি ৬০ লাখ, ভিয়েতনামের তিন কোটি ১০ লাখ, ইন্দোনেশিয়ার দুই কোটি ৩০ লাখ এবং থাইল্যান্ডের এক কোটি ২০ লাখ লোক বার্ষিক উপকূলীয় বন্যা ঝুঁকির মুখোমুখি হবে।
×