
ছবি: সংগৃহীত
গাজা ও দখলকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি আগ্রাসনের জবাবে নতুন করে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সংগঠনটির সামরিক শাখা কাসেম ব্রিগেড জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির চুক্তি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে অন্তত ৩০ হাজার নতুন যোদ্ধাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। গাজা, পশ্চিম তীর ও আশপাশের এলাকায় ইসরায়েলের বর্বর হামলা ও দমননীতির জবাবে চলছে এই প্রস্তুতি।
মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন সংবাদ সংস্থার তথ্যমতে, কাসেম ব্রিগেডের গোপন সামরিক ঘাঁটিগুলোতে নতুন সদস্যদের ব্যাপক গেরিলা প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষণে রকেট হামলা, বিস্ফোরক পুতে রাখা ও গোপন হামলার কৌশল শেখানো হচ্ছে তরুণ যোদ্ধাদের। মূলত ইসরায়েলি হামলার মাত্রা চরমে ওঠায় মানবিক ও অস্ত্র সংকটে পড়েছে হামাস, আর সেই সংকট মোকাবিলায়ই নেওয়া হয়েছে নতুন নিয়োগের সিদ্ধান্ত।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী আইডিএফ দাবি করেছে, চলমান যুদ্ধে তারা হামাসের অন্তত ১২ হাজার সদস্যকে হত্যা করেছে। অন্যদিকে হামাস জানিয়েছে, গত দেড় বছরে তাদের প্রায় ৬ হাজার যোদ্ধা প্রাণ হারিয়েছে। গত মার্চে যুদ্ধবিরতির চুক্তি ভঙ্গের পর হামাস আরও ৩০০ যোদ্ধা নিয়োগের কথাও জানায়।
তবে কাসেম ব্রিগেড স্পষ্টভাবে জানায়নি ঠিক কবে, কোথায় এবং কীভাবে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। তবুও, ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধিকার আদায়ে নতুন করে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হামাস ও এর সামরিক শাখা কাসেম ব্রিগেড।
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/TtTOFA8Vb20?si=GXvlx4ghOGpBJCtp
এম.কে.