ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২

ফিলিস্তিনি প্রশ্নে আপোষহীন এরদোয়ান, ইসরাইলকে দিলেন কড়া বার্তা

প্রকাশিত: ০৭:৫৪, ১২ এপ্রিল ২০২৫

ফিলিস্তিনি প্রশ্নে আপোষহীন এরদোয়ান, ইসরাইলকে দিলেন কড়া বার্তা

গাজা ইস্যুতে দীর্ঘদিনের কূটনৈতিক নিস্পৃহতা পেছনে ফেলে এবার দৃঢ় অবস্থান নিচ্ছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেব তাইয়েব এরদোয়ান। বিশ্বমঞ্চে ইসরাইলকে সরাসরি বার্তা দিয়ে তিনি জানিয়ে দিলেন,ফিলিস্তিন প্রশ্নে আপোষ নয়।সম্প্রতি এক ভাষণে এরদোয়ান বলেন, “গাজাকে দখলে নিয়ে ইসরাইলের মানচিত্র বড় করার স্বপ্ন কখনোই পূরণ হবে না।” তার এই বক্তব্যে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে নতুন উত্তাপ ছড়িয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি এবার লড়াইয়ে নামছেন এরদোয়ান?

এই মুহূর্তে মুসলিমদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু ফিলিস্তিন। যদিও তুরস্ক এ নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে ছিল অপেক্ষাকৃত নীরব, তবে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান যে নীরব নন, তার প্রমাণ মিলতে শুরু করেছে। ইন্দোনেশিয়াসহ একাধিক মুসলিম দেশকে পাশে নিয়ে গাজার পুনর্গঠনে এবার সক্রিয় হতে যাচ্ছেন তিনি। জানিয়েছেন, “ফিলিস্তিনের অধিকার রক্ষার লড়াই থেকে কখনোই পিছিয়ে আসবে না তুরস্ক।”

মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার জন্য বারবারই ইসরাইলকে দায়ী করে আসছেন এরদোয়ান। বাইডেন সরকারের আমলে গাজায় ইসরাইলি হামলায় মার্কিন সহায়তার তীব্র সমালোচনাও করেছেন তিনি। ছাড় দেননি মার্কিন প্রশাসনের কাউকেই।

তবে ট্রাম্পের শাসনামলে গাজায় দ্বিতীয় দফায় হামলার সময় তুরস্কের পক্ষ থেকে তেমন কোন দৃশ্যমান কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। যদিও নিন্দা অব্যাহত ছিল, মুসলিম বিশ্ব এই নির্লিপ্ত অবস্থানে হতাশ হয়েছে। এরদোয়ান জানেন, ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি বাইডেনের থেকে ভিন্ন। “ইসরাইলপন্থী হলেও, ট্রাম্প নিজের স্বার্থ ভালো বোঝেন”এমনটাই বিশ্বাস তুর্কি প্রেসিডেন্টের। সে কারণে সরাসরি সংঘাতে না গিয়ে কূটনৈতিক কৌশলে নেতানিয়াহুকে চাপে ফেলতে চাইছেন তিনি।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কয়েক বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র ক্রয়ের প্রস্তাব দিয়েছে তুরস্ক। একই সঙ্গে সিরিয়া নিয়েও ইসরাইলের সঙ্গে ঠান্ডা কৌশলে এগোচ্ছেন এরদোয়ান। আসাদের পতনের পর রাশিয়া ও ইরানের পরিবর্তে এখন নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই তুরস্কের হাতে। এর মধ্যেই সিরিয়ায় তুর্কি সেনা মোতায়েন নিয়ে ইসরাইল হুশিয়ারি দিয়েছে যুদ্ধের। এই ইস্যুতে নেতানিয়াহু ট্রাম্পের সাথেও আলোচনা করেছেন এবং জানিয়েছেন, “তুরস্কের সাথে সরাসরি যুদ্ধে জড়াতে দ্বিধা করবে না ইসরাইল।”

তবে ট্রাম্প স্পষ্ট করেছেন, সিরিয়া ইস্যুতে তুরস্কের সাথে দ্বন্দ্বে যাবেন না তিনি। বরং এরদোয়ানকে “দুর্দান্ত নেতা” হিসেবে আখ্যা দিয়ে, তুরস্কের পাশে থাকার ইঙ্গিত দেন তিনি। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ছাড়পত্র ছাড়া তুরস্কের সঙ্গে যুদ্ধের ঝুঁকি নিতে চায় না নেতানিয়াহু প্রশাসন।

সিরিয়ার সংকট সামাল দিয়ে এবার গাজা ইস্যুতে নতুন কৌশল নিচ্ছেন এরদোয়ান। মুসলিম দেশগুলোকে পাশে পেতে সক্রিয় হচ্ছেন তিনি। গেল সপ্তাহেই এক ভাষণে তিনি বলেছেন, “গাজাকে দখলে নিয়ে ইসরাইলের মানচিত্র বড় করার স্বপ্ন কখনোই পূরণ হবে না।”

 

 

সূত্র:https://tinyurl.com/2taespzs

আফরোজা

×