
ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মজিদ তাখত রাভাঞ্জি, জাতিসংঘের বিশেষ দূত হান্স গ্রুন্ডবের্গের সঙ্গে ইয়েমেন বিষয়ক একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে বলেন, "মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একের পর এক ভারী হামলা ইয়েমেনের সাধারণ মানুষের জন্য ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনছে। এতে অনেক নিরীহ মানুষ আহত হয়েছে কিংবা শাহাদত বরণ করেছে, আর দেশের অবকাঠামোও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই বর্বর হামলাগুলো এখনই বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।"
তিনি আরও বলেন, "ইয়েমেনের সংকটের কোনও সামরিক সমাধান নেই। শুধু সামরিক শক্তি দিয়ে এই সমস্যার সমাধান হবে না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা এখন শান্তি প্রতিষ্ঠা, যুদ্ধবিরতি জোরদার এবং পূর্বে যে শান্তিচুক্তি হয়েছিল, তা বাস্তবায়ন করার দিকে হওয়া উচিত। ইরান এই প্রক্রিয়ার পুরোপুরি সমর্থন করে।"
ইরান, ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের অন্যতম প্রধান সমর্থক, যারা দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়ে আসছে। হুতি বিদ্রোহীরা গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের প্রতিক্রিয়া হিসেবে বারবার ইসরায়েল ও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত শিপিংগুলোর ওপর হামলা করেছে।
এই পরিস্থিতি বিশ্বজুড়ে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে, কারণ ইয়েমেনের জনগণের প্রতি এই হামলা ও নির্যাতন কেবল তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়, বরং তাদের ভবিষ্যতও বিপদের মুখে ফেলছে।
ইরান এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছে যে, ইয়েমেনের শান্তি এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সকল পক্ষকে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।
সূত্র: আল- জাজিরা
আফরোজা