ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৫ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১

গাজায় ফের হামলার প্রতিবাদ

ইসরাইলে সরকারবিরোধী তীব্র বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ২০:২৭, ২৩ মার্চ ২০২৫

ইসরাইলে সরকারবিরোধী তীব্র বিক্ষোভ

রবিবার তেলআবিবে তৃতীয় দিনের মতো সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলে

ইসরাইলে সরকারবিরোধী তীব্র বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা শেন বেতের প্রধান রোনেন বারকে বরখাস্ত করা এবং গাজায় আবার হামলা শুরুর প্রতিবাদে রবিবার তেলআবিবে হাজার হাজার ইসরাইলি বিক্ষোভ করেন। খবর রয়টার্সের।
নেতানিয়াহু এর আগে বলেছিলেন যে, তিনি রোনেন বারের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন। যিনি ২০২১ সাল থেকে শিন বেতের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আগামী ১০ এপ্রিল থেকে রোনেনকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। নেতানিয়াহু সরকারের এই ঘোষণার পরই ইসরাইলে বিক্ষোভ শুরু হয়। তবে ইসরাইলের সুপ্রিম কোর্ট বরখাস্তের বিষয়টি সাময়িকভাবে স্থগিত করে একটি নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বিক্ষোভকারীরা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেন, নেতানিয়াহুর এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ছাড়া বারকে অপসারণ করে ইসরাইলের গণতন্ত্রের ভিত্তি স্থাপনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্বল করার অভিযোগও করেছেন বিক্ষোভকারীরা। তবে নেতানিয়াহু এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এদিকে ১৯ জানুয়ারি হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে গত মঙ্গলবার গাজায় আবার হামলা শুরু করে ইসরাইল। গত কয়েকদিনের হামলায় ৬০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হন। এ সময় তেল আবিবের হাবিমা স্কোয়ারে জড়ো হয়ে বিক্ষোভকারীরা নীল এবং সাদা ইসরাইলি পতাকা উড়িয়ে গাজায় বন্দি অবশিষ্ট ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তির জন্য একটি চুক্তির আহ্বান জানান। প্রতিবাদ বিক্ষোভে অংশ নেওয়া মোশে হাহারোনি বলেন, ইসরাইলে সবচেয়ে বড় শত্রু হচ্ছেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ২০ বছর ধরে তিনি আমাদের দেশের এবং আমাদের কোনো পরোয়া করেননি। গাজায় ইসরাইলের নির্বিচার হামলা শুরুর পর থেকে হামাসের হাতে বন্দি ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্য ও সমর্থকেরা বিক্ষোভ করে আসছেন। ওই সব বিক্ষোভ সমাবেশে নানা সময়ে নেতানিয়াহু সরকারের কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর অতর্কিত হামলা চালিয়ে যে ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে গিয়েছিল হামাস যোদ্ধারা, হিসেব অনুযায়ী তাদের মধ্যে এখনো ৫৪ জন আটকে আছেন গাজায়। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এই ৫৪ জনের মধ্যে বেঁচে আছেন ৩০ থেকে ৩৫ জন। রোনেন বারের অপসারণ বাতিলের দাবিতে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন আটকে থাকা এই জিম্মিদের স্বজনরাও।

×