
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে বন্দি বিনিময় চুক্তি বিলম্বিত হওয়ার ফলে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। হামাস ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতি চুক্তির "স্পষ্ট লঙ্ঘন" করার অভিযোগ করেছে, কারণ ইসরায়েল ৬২০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিতে বিলম্ব করছে।
এই বিলম্বের মধ্যেই অধিকৃত পশ্চিম তীরে সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে, যেখানে ইসরায়েলি বাহিনী পৃথক ঘটনায় জেনিন ও হেব্রনে ১২ ও ১৩ বছর বয়সী দুই ফিলিস্তিনি শিশুকে হত্যা করেছে। এই হত্যাকাণ্ড ফিলিস্তিনি এলাকায় আরও ক্ষোভ উসকে দিয়েছে, যেখানে মানবিক পরিস্থিতি চরম সংকটপূর্ণ।
এদিকে, ইসরায়েলি বন্দি শিরি বিবাসের পরিবার নিশ্চিত করেছে যে তার দেহাবশেষ শনাক্ত করা হয়েছে। গাজা থেকে বৃহস্পতিবার ফেরত পাঠানো একটি মৃতদেহের পরিচয় ভুল হওয়ার কারণে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছিল।
গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযান ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের ওপর বিপর্যয়কর প্রভাব ফেলেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত ৪৮,৩১৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং ১,১১,৭৪৯ জন আহত হয়েছে। গাজার সরকারী মিডিয়া অফিস তাদের মৃত্যুর সংখ্যা ৬১,৭০৯-এ আপডেট করেছে, যেখানে বলা হয়েছে যে ধ্বংসস্তূপের নিচে হাজারো নিখোঁজ ব্যক্তি মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই সংঘাত ৭ অক্টোবর, ২০২৩-এর হামাস নেতৃত্বাধীন ইসরায়েল আক্রমণের পর থেকে শুরু হয়, যেখানে কমপক্ষে ১,১৩৯ জন নিহত এবং ২০০-র বেশি লোক বন্দি হয়। এর প্রতিক্রিয়ায়, ইসরায়েল গাজায় একটি সামরিক অভিযান চালায়, যা নজিরবিহীন প্রাণহানি এবং ধ্বংসযজ্ঞের কারণ হয়েছে।
যখন আলোচনা চলছে, তখন উভয় পক্ষের প্রতি আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে যাতে তারা যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে চলে এবং মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করে। বন্দি বিনিময় বিলম্বিত হওয়ায় যুদ্ধবিরতির নাজুকতা এবং সহিংসতার আরও বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
সাজিদ