
ভবিষ্যতে যাতে আর কোনো যুদ্ধ না হয় সেজন্য ইরানকে অবশ্যই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে উল্লেখ করে ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী হাজিজাদেহ বলেছেন, শীঘ্রই দখলদার ইসরাইলের বিরুদ্ধে তৃতীয় প্রতিশোধমূলক সামরিক অভিযান চালানো হবে। আইআরজিসির অ্যারোস্পেস ডিভিশনের কমান্ডার হাজিজাদেহ বুধবার এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন। তেহরানভিত্তিক পার্সটুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা যুদ্ধের সময় ইরান ইসরাইলের বিরুদ্ধে ট্রু প্রমিজ-১ ও ২ নামের দুটি সামরিক অভিযান চালায়। জেনারেল হাজিজাদেহ ওই দুটি অভিযানের কথা উল্লেখ করে বলেন, শীঘ্রই ট্রু প্রমিজ-৩ অভিযান চালানো হবে। খবর ইরনার। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইলের হুমকির মুখে থাকা ইরান এবার অত্যাধুনিক কায়েম-১১৮ বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করেছে। দেশটির অভিজাত বিপ্লবী গার্ডস কর্পস আইআরজিসির স্থল বাহিনী এটি তৈরি করেছে। বুধবার এক প্রতিবেদনে মেহর নিউজ এজেন্সি জানায়, মহানবী-১৯ সামরিক মহড়ার দ্বিতীয় পর্যায়ে এই অত্যাধুনিক ব্যবস্থাটি উন্মোচন করা হয়। ২৫ কিলোমিটার পাল্লার এই বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র রাডার, ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল এবং থার্মাল ট্র্যাকিং দিয়ে সজ্জিত, যা উচ্চ নির্ভুলতা নিশ্চিত করে। কায়েম-১১৮ ক্ষেপণাস্ত্র অগ্নি নিয়ন্ত্রণ রাডার একই সময়ে একাধিক লঞ্চারের সঙ্গে সংযুক্ত হতে পারে এবং আরও বেশি সংখ্যক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে পারে। এদিকে ইরানের সেনাবাহিনীর স্থল বাহিনীর কমান্ডার এক কঠোর সতর্কবার্তা জারি করে ইরানের সামরিক প্রস্তুতি এবং শত্রু শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও দখলদার ইসরাইল সম্প্রতি যে হুমকি ধমকি দিয়েছে তা প্রত্যাখ্যান করে জেনারেল হাজিজাদেহ বলেন, সাম্রাজ্যবাদী ও ইহুদিবাদীরা আসলে মনস্তাত্ত্বিক চাপ তৈরি করে ইরানকে প্রতিশোধ গ্রহণ করা থেকে বিরত রাখতে চায়। তিনি আরও বলেন, আর যাতে কোনো যুদ্ধ না হয় সেজন্য যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে হবে। আমরা এ বিষয়ে নিশ্চিত যে, শত্রুদের পক্ষে সংঘাত নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না। আইআরজিসির অ্যারোস্পেস ডিভিশনের সমরাস্ত্র উৎপাদন বন্ধ করার লক্ষ্যে শত্রুদের নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা সত্ত্বেও এই উৎপাদন কখনো বন্ধ হয়নি।