নেতানিয়াহু
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা সোমবার থেকে শুরু হওয়ার কথা। তবে হিব্রু সংবাদমাধ্যম ওয়াল্লা নিউজ জানিয়েছে, সোমবার কাতারে আলোচনার জন্য প্রতিনিধি দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দখলদার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। খবর টাইমস অব ইসরাইলের।
গত ১৯ জানুয়ারি হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। তিন ধাপের এ চুক্তিটির প্রথম ধাপের মেয়াদ ৪২ দিন। তবে প্রথম ধাপের ১৬ দিনের মাথায় দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনা শুরু করতে হবে বলে চুক্তিতে উল্লেখ আছে। সে হিসেবে সোমবার হবে ১৬তম দিন। নেতানিয়াহু যদি শেষ পর্যন্ত প্রতিনিধিদের কাতার না পাঠান তাহলে এটি চুক্তির গুরুতর লঙ্ঘন হবে। এক জ্যেষ্ঠ ইসরাইলি কর্মকর্তা বলেছেন, চুক্তির দ্বিতীয়ধাপ কার্যকরের ক্ষেত্রে বিষয়টি খুবই চিন্তার। তবে আশা করি এটি ৪২ দিনের প্রথম ধাপটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে না। নেতানিয়াহু দ্বিতীয় ধাপের আলোচনার জন্য প্রতিনিধিদের যেতে না দিয়ে, আবারও যুদ্ধ শুরুর চক্রান্ত করছেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইল। দ্বিতীয় ধাপ কার্যকর হলে হামাস গাজা থেকে সব জীবিত জিম্মিকে মুক্তি দেবে, ইসরাইল অসংখ্য ফিলিস্তিনি বন্দিকে তাদের কারাগার থেকে মুক্তি দেবে এবং দখলদার ইসরাইলের সব সেনাকে গাজা থেকে প্রত্যাহার করে নিয়ে যাওয়া হবে। এদিকে গাজার নিয়ন্ত্রণ নিতে প্রয়োজন হলে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে প্রস্তুত রয়েছে প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের ফিলিস্তিন অথরিটি (পিএ)। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফকে এ তথ্য জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা হুসেইন আল শেখ। রিয়াদে তাদের এ বৈঠকটি হয়। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস পদত্যাগ বা মৃত্যুবরণ করলে হুসেইন আল শেখের প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনিই এখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আঁতাত করে গাজার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। গাজা বর্তমানে হামাসের শাসনে পরিচালিত হচ্ছে।