ইসরায়েলি বাহিনীর আক্রমণে গত জুলাই মাসে হামাসের সামরিক শাখা কাশেম ব্রিগেডের প্রধান, মোহাম্মদ আল-দেইফের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস দীর্ঘ ৬ মাস পর তার মৃত্যু সংবাদ নিশ্চিত করেছে। এই বিষয়টি পূর্বে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বা আইডিএফ দাবি করেছিল, তবে ফিলিস্তিনী সংগঠন এখন তা প্রকাশ্যে স্বীকার করেছে।
হামাসের এক শীর্ষ নেতা হিসেবে, মোহাম্মদ আল-দেইফ ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি আক্রমণের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার মৃত্যু এমন একটি ঘটনা যা একাধারে ইসরায়েলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী আন্দোলনে এক বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা যাচ্ছে।
৬ সূত্রে জানা যায়, ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেট এবং মোসাদ একাধিকবার আল-দেইফকে হত্যার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তারা সফল হয়নি। তাদের বহু প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর, শেষমেশ এই হামলায় তার মৃত্যু হয়।
এই ঘটনা শুধু ফিলিস্তিনিরা নয়, বরং আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং মধ্যপ্রাচ্যের সংকটে নতুন মাত্রা যোগ করতে চলেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আল-দেইফের মৃত্যু ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী আন্দোলনকে প্রভাবিত করতে পারে, তবে হামাসের পক্ষ থেকে পরবর্তী পদক্ষেপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
তবে, হামাস তার প্রতিষ্ঠাতার আদর্শে অবিচল থেকে বলেছে, তারা আল-দেইফের আত্মত্যাগ ও ত্যাগের জন্য তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
সূত্র:https://tinyurl.com/4rfn7tzz