ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১

সেনাবাহিনীতে অত্যাধুনিক এক হাজার ড্রোন যুক্ত

ইরানে মাটির নিচে ক্ষেপণাস্ত্রের শহর

প্রকাশিত: ২০:৫৭, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫

ইরানে মাটির নিচে ক্ষেপণাস্ত্রের শহর

সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে মাটির নিচে ক্ষেপণাস্ত্রের শহর গড়ে তুলেছে ইরান। সম্প্রতি এর ভিডিও প্রকাশ করেছে দেশটি। এতে উদ্বেগে পড়েছে তেহরানের চিরশত্রু ইসরাইল। কারণ দশকের পর দশক ইরানের সঙ্গে ছায়াযুদ্ধ লিপ্ত তেলআবিব। এদিকে ইরানের সেনাবাহিনীতে আরও এক হাজার নতুন অত্যাধুনিক ড্রোন যুক্ত হয়েছে। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় সোমবার ড্রোনগুলো হস্তান্তর করা হয়। খবর ইরনার।
ছায়াযুদ্ধের খোলস ছেড়ে একে অপরের ভূখণ্ডে সরাসরি হামলা ও পাল্টা হামলা চালাচ্ছে দেশ দুটি। উত্তেজনাকর এমন পরিস্থতির মধ্যেই ক্ষেপণাস্ত্রের শহরের ভিডিও প্রকাশ করল খামেনির দেশ। প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, ভূগর্ভস্থ শহরটির দুই পাশে থরে থরে সাজানো বিভিন্ন পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। এর মাঝখানে সিনেমাটিক ওয়েতে সামরিক গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করছেন ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর-আইআরজিসি কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহ। ইরানের সংবাদমাধ্যম মেহের নিউজ জানিয়েছে, অনেক আগেই এই ক্ষেপণাস্ত্রের শহর নির্মাণ করা হয়েছে। গত অক্টোবর ও এপ্রিলে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইরান যে অভিযান চালিয়েছে, তার একাংশ পরিচালিত হয়েছে ভূগর্ভস্থ এ ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি ব্যবহার করে। এখানে কী কী ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, সেগুলো কোন পাল্লার সেই সম্পর্কে কোনো তথ্য দেয়নি তেহরান। তবে গত শুক্রবার ইরানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর আবাদানে এক অনুষ্ঠানে সালামি ঘোষণা করেন আইআরজিসি অ্যারোস্পেস ফোর্স নতুন বিশেষ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে। ধারণা করা হচ্ছে, নতুন সেই ক্ষেপণাস্ত্রের মজুত এই ঘাঁটিতেও থাকতে পারে। বিশ্লেষকরা বলছেন গাজা, লেবানন ও ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত বাহিনী ইসরাইলের হামলার মুখে পড়লেও এবং দেশটির মিত্র সিরিয়ার নেতা বাশার আল আসাদ সরকারের পতন ঘটলেও তেহরান এ অঞ্চলে ক্ষমতা হারায়নি, সেটাই দেখাতে চায় উপসাগরীয় দেশটি। আর মাত্র এক সপ্তাহ পরই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতাগ্রহণ করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে পা রাখলেই তেহরানের সঙ্গে পশ্চিমের সম্পর্কের সমীকরণ কঠিন হয়ে যাবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ধারণা করা হচ্ছে, ইরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবেন এই রিপাবলিক্যান নেতা। কিন্তু ট্রাম্প কেনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগেই ক্ষেপণাস্ত্রের শহরের ভিডিও প্রকাশ করে ট্রাম্প প্রশাসন ও তার ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরাইলকে উদ্বেগের ফেলে দিল মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। ইরানের নতুন ড্রোনগুলোর নিখুঁত হামলা চালানো, গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ এবং নেটওয়ার্ক ওরিয়েন্টেশন সক্ষমতা রয়েছে। গত ৯ জানুয়ারি ইরানের সেনাবাহিনীর স্থলবিভাগের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কিউমার্স হায়দারি এক অনুষ্ঠানে বলেন, তার বাহিনী হাজার হাজার ড্রোনসহ অন্যান্য অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম গ্রহণ ও সেগুলো ব্যবহার করার সক্ষমতা অর্জন করেছে।

×