ইসরাইলি হামলায় বিধ্বস্ত বাড়ি ঘুরে দেখছে দুই শিশু
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি হামলায় ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৪৫ হাজার ৮শ’ ছাড়িয়ে গেছে। এ ছাড়াও আহত হয়েছেন অন্তত লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি। সোমবার এক প্রতিবেদনে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের চলমান হামলায় কমপক্ষে আরও ৮৮ জন নিহত হয়েছেন। এতে করে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৫ হাজার ৮০৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
৩৪ বন্দিকে মুক্তি দিতে সম্মত হামাস ॥ যুদ্ধ বিরতির আলোচনায় ৩৪ বন্দিকে মুক্তি দিতে সম্মত হয়েছে হামাস। তবে এ দাবি অস্বীকার করেছে ইসরাইল। সোমবার এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন নিউজ এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যেই গাজাজুড়ে ইসরাইলি আগ্রাসন অব্যাহত রয়েছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ভেঙে দিতে হাসপাতালকে টার্গেট করে হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)। গত এক বছরে তারা এক হাজারের বেশি মসজিদ ধ্বংস করেছে।
এদিকে বেশ কয়েকবার ভেস্তে যাওয়ার পর হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে এবারের যুদ্ধবিরতি আলোচনার অনেকটাই অগ্রগতি হয়েছে। স্থানীয় সময় রবিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে গোষ্ঠীটির এক মুখপাত্র জানান, এরইমধ্যে ৩৪ বন্দির একটি লিস্ট ইসরাইলকে দেওয়া হয়েছে। সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে তাদের ইসরাইলের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এতে প্রাধান্য পাবে বয়োবৃদ্ধ ও নারীরা।যদিও বন্দিদের মধ্যে কতজন জীবিত রয়েছে তা শনাক্ত করতে ১ সপ্তাহ সময় চেয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি। হামাসের এমন দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে ইসরাইল বলে তাদের কাছে কোনো তালিকাই পৌঁছায়নি। এদিকে আলোচনার এ পরিস্থিতিতেই সামনে গাজাবাসীর জন্য কি অপেক্ষা করছে তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে চলছে আলোচনা। এমনকি, বাইডেন সরকারের কাছে ক্ষমতাও রয়েছে আর মাত্র ১৫ দিন। এরমধ্যেই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে কি না তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে অনেকের মনে।