চার মেয়েকে নিয়ে ডাল সিদ্ধ খাচ্ছেন গাজার এক নারী ইয়াসমিন ইদ
গাজা উপত্যকার বিধ্বস্ত তাঁবুতে বসবাসরত এক নারী ইয়াসমিন ইদ বলেছেন, ত্রাণ সংকটে খাদ্যের অভাব দেখা দেওয়ায় এখন একবেলা খেতে হচ্ছে। তিনি বলেন, আমার মেয়েরা ক্ষুধার কারণে তাদের আঙুল চুষতে থাকে আর আমি তাদের পিঠে হাত বুলিয়ে ঘুম পাড়াই। পাঁচবার স্থানচ্যুত হওয়ার পর ইয়াসমিনের পরিবার এখন মধ্য গাজায় বসবাস করছে। কারণ এখানে ত্রাণ সংস্থাগুলোর উত্তরাঞ্চলের তুলনায় কিছুটা বেশি প্রবেশাধিকার রয়েছে। এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজা ও লেবাননে ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর হামলায় রবিবার আরও ৭১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। এর মধ্যে গাজায় হামলায় নিহত হয়েছেন ৩৮ ফিলিস্তিনি। অন্যদিকে লেবাননে হামলায় মারা গেছেন ৩৩ জন। খবর আলজাজিরার। ফিলিস্তিনের গাজার নুসেইরাতে একটি মসজিদ গুঁড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি খান ইউনিসসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় দিনভর হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। এদিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত ইহুদিদের মধ্যে হামাসের প্রতি গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে বলে নতুন এক জরিপে উঠে এসেছে । বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী মার্কিন-ইহুদি তরুণদের এক-তৃতীয়াংশের বেশি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের প্রতি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেছে। জরিপটি করেছে ইসরাইলের প্রবাসীকল্যাণ ও ইহুদিবিদ্বেষ মোকাবিলা-বিষয়ক
মন্ত্রণালয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ইহুদি তরুণ-তরুণীদের ওপর ভিন্নধর্মী জরিপ চালিয়েছে ইসরাইল। উত্তর গাজা এখন অনেকটা বিচ্ছিন্ন। যুদ্ধের কারণে ব্যাপক ধ্বংসের শিকার হয়েছে। অবশ্য গাজায় এখন প্রায় সবাই ক্ষুধার্ত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উত্তরাঞ্চলে পূর্ণমাত্রার দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে। দেইর আল-বালাহ এলাকায় ইয়াসমিনের পরিবার হাজারো মানুষের সঙ্গে অস্বাস্থ্যকর তাঁবুতে আশ্রয় নিয়েছে। এ সপ্তাহে সেখানে স্থানীয় বেকারিগুলো পাঁচদিন বন্ধ ছিল।