
যুদ্ধক্ষেত্রে সেনাদের আকৃষ্ট করতে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে ইউক্রেন। দেশটি তরুণদের জন্য নানা সুবিধারও ঘোষণা দিয়েছে। এরপরও মিলছে না আশানুরূপ সাড়া। ইউক্রেনের তরুণদের আকৃষ্ট করতে উচ্চ বেতন, এককালীন বোনাস এবং সুদমুক্ত হোম লোনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু ইউরোপের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘাতে সম্মুখ যুদ্ধে নামার শর্তে এই প্রস্তাব অনেকের কাছেই মরণফাঁদ বলে মনে হচ্ছে। ফেব্রুয়ারিতে চালু হওয়া এই নিয়োগ কর্মসূচিতে এখন পর্যন্ত মাত্র ৫০০ জনেরও কম তরুণ চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সামরিক উপদেষ্টা পাভলো পালিসা। খবর আরটির।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের নেতা ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে খুবই ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা। শনিবার রোমে উভয় নেতাই পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে যোগ দিয়েছিলেন। এক ফাঁকে বৈঠক করেন তারা। জেলেনস্কির অফিসের একজন মুখপাত্রও ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে আর কোনো বিস্তারিত তথ্য দেননি। ইউক্রেনে প্রাথমিকভাবে ছয়টি ব্রিগেডে সীমাবদ্ধ এই কর্মসূচি পরে ২৪টি ব্রিগেডে সম্প্রসারিত হয়েছে। ইউক্রেনের সেনাবাহিনী তিন বছরের যুদ্ধে বিপর্যস্ত। সৈন্য সংখ্যায় পিছিয়ে রয়েছে রাশিয়ার তুলনায়। শত শত তরুণের অংশগ্রহণ এখনো আশানুরূপ নয়। সাম্প্রতিক নিয়োগপ্রাপ্তদের একজন ২০ বছর বয়সী পাভলো ব্রোশকভ। তিনি বলেন, আমি চাই না আমার মেয়ে পোলিনা কখনো যুদ্ধ শব্দটা শুনুক। আমার দায়িত্ব দেশের জন্য কিছু করা। তিনি জানান, তার এক বছরের সামরিক পরিসেবার বিনিময়ে যে আর্থিক প্যাকেজ দেওয়া হচ্ছে সেটিও তার জন্য প্রলোভনস্বরূপ।
প্যানেল