
ইসরাইলি হামলায় গাজা উপত্যকার উত্তরে জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের দৃশ্য
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলা চলছেই। নির্বিচার বোমাবর্ষণে উপত্যকার ৯০ ভাগ বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএমের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরাইলি হামলায় একদিনে আরও ৪৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও শতাধিক। এতে করে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৫১ হাজার ৩০০ ছাড়িয়ে গেছে। অন্যদিকে অধিকৃত পশ্চিমতীরে ব্যাপকভাবে গ্রেপ্তার অভিযান চালাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫০ ফিলিস্তিনিকে আটক করা হয়েছে। যাদের মধ্যে নাবালক, নারী এবং আগে মুক্তি পেয়েছেন এমন বন্দিও আছেন। খবর আলজাজিরার।
আইওএম জানিয়েছে, ইসরাইলের অব্যাহত অবরোধে গাজায় দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধের সংকটে চরম মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন বাসিন্দারা। এমন পরিস্থিতিতে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ প্রবেশে দেওয়া নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জার্মানি, ফ্রান্স, ও ব্রিটেন। উপত্যকাটির এমন মানবিক বিপর্যয়ের মাঝেই ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী ইতামার বেন গাভির দাবি করেছেন, গাজার খাদ্য ও ত্রাণ গুদামে বোমা বর্ষণের বিষয়ে মার্কিন রিপাবলিকান নেতাদের সমর্থন আছে। তিনি বলেন, ফ্লোরিডায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাসভবনে রিপাবলিকান পার্টির উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে তার। ইসরাইল যদি গাজা দখল না করে তবে নেতানিয়াহুর সরকার ভেঙে দেবার হুমকি দিয়েছেন ইসরাইলের উগ্র ডানপন্থি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোটরিচ। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, গাজায় ইসরাইলি হামলার সম্পূর্ণ দায় প্রধানমন্ত্রীর। বেজালেল হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, নেতানিয়াহু যেন দ্রুত হামাসকে পরাজিত করতে সামরিক অভিযান শুরু করেন, গাজা দখল করে সেখানে সাময়িক সেনা শাসন জারি করেন এবং বন্দিদের ফেরানোর পাশাপাশি ট্রাম্পের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন।
প্যানেল