ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

ভ্যাটিকানে হাজারো মানুষের ঢল

পোপ ফ্রান্সিসকে শেষ বিদায় জানানো শুরু

প্রকাশিত: ২১:১৭, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

পোপ ফ্রান্সিসকে শেষ বিদায় জানানো শুরু

পোপ ফ্রান্সিসকে শেষ বিদায় জানানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তার মরদেহ রাখা হয়েছে, ভ্যাটিকানের সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায়। সেখানে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বুধবার জড়ো হয়েছে ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ। শনিবার শেষকৃত্য শুরুর আগ পর্যন্ত তিনদিন পোপের মরদেহ সেখানেই থাকবে। বিশ্বজুড়ে শোকার্ত বহু মানুষের পাশাপাশি ক্যাথলিকরাও পোপকে শেষ বিদায় জানাতে দলে দলে জড়ো হয়েছেন রোমে। খবর বিবিসির।
ক্যাথলিক ধর্মে বিশ্বাসী মারিয়া পিয়া উত্তর ইতালিতে নিজ বাড়ি থেকে সপরিবারে যাত্রা করে রোমে পৌঁছেছেন পোপকে শেষ বিদায় জানাতে। তার মতে, বৈশ্বিক ক্যাথলিক চার্চে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন নিয়ে এসেছিলেন পোপ ফ্রান্সিস। নতুন পোপও এই পরিবর্তনের ধারা অব্যাহত রাখবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। ক্যাথলিক ধর্মবিশ্বাসীরা ইস্টার সানডে এবং ক্যাথলিক পবিত্র বছর উপলক্ষে আগেই দলে দলে রোমে জড়ো হয়েছিলেন। পোপের মৃত্যুর খবর শোনার পর সেখানে যাচ্ছেন তার আরও অনেক ভক্ত। আগামী শুক্রবার সারা সন্ধ্যাজুড়েই তাদের পোপকে শেষ বিদায় জানানোর সুযোগ দেওয়া হবে। বুধবার সকালে পোপ ফ্রান্সিসের মরদেহ ভ্যাটিকানে তার বাসভবন থেকে সেন্ট পিটারস ব্যাসিলিকায় নেওয়া হয়। কাঠের একটি উন্মুক্ত কফিনে সেটি রাখা হয়েছে। মরদেহ ঢাকা হয়েছে লাল রঙের পোশাকে। কফিনেও আছে লালের আবরণ।
শোকার্ত মানুষেরা কফিনের পাশ দিয়ে যেতে যেতে শেষ বিদায় জানাচ্ছেন পোপকে। বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টা থেকেই পোপের কফিন উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে মানুষজনকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে দেওয়ার জন্য। মধ্যরাত পর্যন্ত এটি উন্মুক্ত রাখা হবে। বৃহস্পতি ও শুক্রবারে কফিনটি ফের উন্মুক্ত করা হবে সকাল ৭টায় এবং বন্ধ করা হবে মধ্যরাতে। বুধবার সকালে পোপকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো শুরু হওয়ার আগে থেকেই সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় দেখা গেছে ক্যাথলিক পুণ্যার্থীদের ঢল। তারা পোপকে শেষ বিদায় জানানোর অপেক্ষায় আছেন। এই ক্যাথলিকদের একজন বলেন, পোপকে শেষ বিদায় জানানোটা গুরুত্বপূর্ণ। ১৫ বছর আগে পোপকে দেখেছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাকে শেষ বিদায় জানানোটা খুবই হৃদয়বিদারক হবে। ওদিকে, পোপকে শেষ বিদায় জানাতে আসা এক দম্পতি বিবিসিকে বলেন, পোপ স্বর্গ থেকে আমাদের আশীর্বাদ করবেন। গত সোমবার ৮৮ বছর বয়সী ফ্রান্সিস স্ট্রোক করে ও হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে মারা যান। অন্ত্যষ্টিক্রিয়ায় অন্তত ২৫০,০০০ লোক সমাগম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চার্চের সর্বোচ্চ ধর্মীয় ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানের নেতৃত্ব দেবেন ক্যাথলিক চার্চের কার্ডিনাল কলেজের ডিন জিওভান্নি বাত্তিস্তা রে। এ সময় হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত থাকবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, ফার্স্ট লেডি মেলানিয়ার পাশাপাশি ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানি, ব্রিটেন, ইউক্রেন, ইইউর নেতারা এবং ফান্সিসের নিজ দেশ আর্জেন্টিনার নেতা এ সময় উপস্থিত থাকবেন।

×