
ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলে দুই চীনা সেনাকে আটক
ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলে দুই চীনা সেনাকে আটক করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। তারা রাশিয়ার হয়ে লড়াই করছিল বলে অভিযোগ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জানান, চীনা সেনাদের সঙ্গে পরিচয়পত্র, ব্যাংক কার্ড ও ব্যক্তিগত তথ্য পাওয়া গেছে।
জেলেনস্কি আরও বলেন, আটক হওয়া দুইজন ছাড়াও আরও বেশ কিছু চীনা নাগরিক রয়েছে রুশ বাহিনীতে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে বলেও জানান জেলেনস্কি। এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দৃষ্টিপাত করেন তিনি। খবর এএফপির।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহা জানিয়েছেন, ইউক্রেনীয় ভূখ-ে চীনা সেনাদের যুদ্ধ শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য চীনের ঘোষিত অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। কিয়েভে চীনা রাষ্ট্রদূতকে বিষয়টি ব্যাখ্যার জন্য তলব করা হয়েছে বলে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান। এবারই প্রথম আনুষ্ঠানিক কিয়েভ অভিযোগ করল, চীন ইউক্রেনে যুদ্ধের জন্য রাশিয়াকে জনবল সরবরাহ করছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেন হামলা করার পর থেকে মস্কো এবং বেজিংয়ের মধ্যে রাজনৈতিক, সামরিক এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা বেশ দৃঢ় হয়েছে। ইউক্রেন যে চীনাকে আটক করেছে বলে দাবি করেছে, তারা চীনা সেনা না কি স্বেচ্ছাসেবক এ ব্যাপারে স্পষ্ট করে জানানো হয়নি। আমেরিকা ও ইউরোপে মিত্রদের এ ঘটনার প্রতিবাদ করার আহ্বান জানিয়েছেন জেলেনস্কি। এ নিয়ে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি মস্কো ও বেজিং।
এর আগে যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে উত্তর কোরিয়ার সেনারা লড়াই করছে বলে জানায় ইউক্রেন। গত কয়েক বছর ধরে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে জোরদার করেছে রাশিয়া। উভয় দেশ একটি পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে এবং পিয়ংইয়ং ইউক্রেনে মস্কোর সেনাদের সঙ্গে লড়াই করার জন্য সেনা পাঠিয়েছে। তবে অন্যান্য ঘটনার সঙ্গে এবার বড় একটা পার্থক্য রয়েছে বলে মনে করেন জেলেনস্কি।
তিনি বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার সেনারা তো কুরস্কে আমাদের বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরে আছে। কিন্তু আটক চীনারা ইউক্রেনের সীমানার অভ্যন্তরে আক্রমণ করেছিল। চীনা যোদ্ধার বিষয়ে ইউক্রেনের অভিযোগ নিয়ে এখনো ব্যাখ্যা দেয়নি ক্রেমলিন। এ ছাড়া পিয়ংইয়ংয়ের সেনা ব্যবহারের বিষয়েও স্পষ্টভাবে তাদের পক্ষ থেকে কখনো কিছু স্বীকার করা হয়নি।
ইউক্রেন থেকে চীনা যোদ্ধা আটকের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস। তবে ওয়াশিংটন এসব অভিযোগ যাচাই করেছে কিনা, সে বিষয়ে তিনি কিছু উল্লেখ করেননি।