
অস্ট্রেলিয়ার এক ব্যক্তি কৃত্রিম হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন করে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। এরপর ১০০ দিনেরও বেশি সময় তিনি পাড়ি দিয়েছেন সেই কৃত্রিম হৃৎপিণ্ড নিয়ে, যতদিন না একজন দাতার হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনের জন্য মিলছিল ততদিন। কৃত্রিম হৃৎপিণ্ড নিয়ে এত দীর্ঘদিন কারও বেঁচে থাকার এমন সাফল্য বিশ্বে এটাই প্রথম। অস্ট্রেলিয়ার গবেষক ও চিকিৎসকরা একে বড় ধরনের ক্লিনিক্যাল সাফল্য হিসেবেই দেখছেন। কৃত্রিম হৃৎপিণ্ড নিয়ে বেঁচে থাকা সেই ব্যক্তি মার্চের শুরুতে একজন দাতার হৃৎপিণ্ড পান এবং তখন সেটি প্রতিস্থাপন করা হয়। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
কুইন্সল্যান্ডের ড. ড্যানিয়েল টিমসের উদ্ভাবিত এই বাইভেকর কৃত্রিম হৃৎপিণ্ড বিশ্বে প্রথম সম্পূর্ণ প্রতিস্থাপনযোগ্য রোটারি ব্লাড পাম্প যা মানব হৃৎপিণ্ডের সম্পূর্ণ বিকল্প হিসেবে কাজ করতে সক্ষম। এটি চৌম্বকীয় লেভিটেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে সুস্থ হৃৎপিণ্ডের মতো স্বাভাবিক রক্তপ্রবাহ নিশ্চিত করে। এই কৃত্রিম হৃৎপিণ্ড এখনো প্রাথমিক ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে এবং মূলত সেই রোগীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে, যারা চূড়ান্ত পর্যায়ের বাইভেন্ট্রিকুলার হার্ট ফেলিওর রোগে আক্রান্ত। সাধারণত হৃদরোগ, হার্ট অ্যাটাক, করোনারি হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিসের কারণে এই অবস্থা সৃষ্টি হয়, যখন হৃৎপিণ্ড শরীরে রক্ত সঞ্চালন করতে ব্যর্থ হয়। প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ হৃদরোগে ভোগেন। কিন্তু মাত্র ৬ হাজার জন পেয়ে থাকেন দাতার হৃৎপিণ্ড। অস্ট্রেলিয়ার সরকার বাইভেকর ডিভাইসের উন্নয়ন ও বাণিজ্যিকীকরণের জন্য ৫ কোটি ডলার অর্থায়ন করেছে যা কৃত্রিম হার্ট ফ্রন্টিয়ার্স প্রোগ্রামের অংশ।