
জার্মানিতে ফেডারেল নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলে জয়ী হয়েছে দেশটির খ্রিস্টান ডেমোক্র্যাটস (সিডিইউ/সিএসইউ)। রবিবারের নির্বাচনে প্রায় ২৯ শতাংশ ভোট পাওয়ার পর জার্মান বিরোধীদলীয় নেতা ফ্রেডরিখ মার্জ বিজয় ঘোষণা করেছেন।
অন্যদিকে প্রায় ২১ শতাংশ ভোট পেয়েছে এএফডি। এই ফলাফলের মাধ্যমে বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলও মিলে গেছে। সোমবার পৃথক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু ও সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে।
সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ভোট গণনার শেষে প্রাথমিক ফলাফলে সিডিইউ এবং সিএসইউ পেয়েছে ২৮ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট। মূলত ভোটগ্রহণের পর বুথফেরত সমীক্ষার ফলাফলেও এমনই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কট্টর ডানপন্থি দল এএফডি। দলটি পেয়েছে ২০ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট।
অন্যদিকে বর্তমান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের দল এসপিডির ভোট ব্যাপকভাবে কমেছে। আগের তুলনায় প্রায় ৯ শতাংশ ভোট কমে তারা পেয়েছে ১৬ দশমিক চার শতাংশ ভোট। এমন পরিস্থিতিতে কোনো দলের পক্ষেই এককভাবে সরকার গঠন করা সম্ভব নয়। করতে হবে জোট সরকার। সিডিইউ আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, তারা এএফডির সঙ্গে সরকার গঠন করবে না। ফলে, দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হয়েও সরকারে থাকতে পারবে না অতি কট্টরপন্থিরা।
এদিকে, দুটি জোট তৈরির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এক এসপিডিকে সঙ্গে নিয়ে নতুন সরকার তৈরি করবে সিডিইউ। অথবা তারা গ্রিন পার্টি বা সবুজ দলকেও জোটসঙ্গী করতে পারে। তবে সিডিইউ নেতা ইতোমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, জোট নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হবে।
অন্যদিকে এএফডি জানিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিটি দল যে ‘ফায়ার ওয়াল’ তৈরি করেছিল, ভোটাররা তার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। পার্লামেন্টে দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে তারা তাদের ভূমিকা পালন করবে।
প্রসঙ্গত, এবারের পার্লামেন্ট নির্বাচনে মোট ভোটার প্রায় ৬ কোটি। রবিবারের এই নির্বাচনে ৮৩-৮৪ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জার্মানির সাম্প্রতিক জাতীয় নির্বাচনে এটি রেকর্ড। গত নভেম্বরে এসপিডির নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ভেঙে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে নির্ধারিত সময়ের আগেই দেশটিতে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো।