![ইউরোপে বড় যুদ্ধের শঙ্কা ইউরোপে বড় যুদ্ধের শঙ্কা](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/15-2502131450.jpg)
আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ইউরোপ ও রাশিয়া সামরিক সংঘাতে জড়াতে পারে বলে সতর্ক করেছে ডেনমার্কের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা। এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়াকে সমর্থন না দেয় এবং ন্যাটোর মধ্যে বিভাজন দেখা দেয় তা হলে ইউরোপে বড় ধরনের যুদ্ধ বাধতে পারে। মস্কো এরই মধ্যে নিজেদের সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করছে বলেও প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে ইউরোপের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কে অবনতি ঘটতে শুরু করে। পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞা আরোপের মধ্য দিয়ে তা চরম বৈরিতায় রূপ নেয়। এরপর থেকেই ইউরোপে আরেকটি বড় যুদ্ধের আশঙ্কা করে আসছেন বিশ্লেষকরা। এবার একই ইঙ্গিত দিল ডেনমার্কের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থাও। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে রাশিয়া ও ইউরোপ সামরিক সংঘাতে জড়াতে পারে বলে সতর্ক করেছে তারা। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণামাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ হলে বা কোনো কারণে আটকে গেলে কিংবা সামরিক জোট ন্যাটোর মধ্যে যদি বিভাজন দেখা দেয়, তা হলে রাশিয়ার সঙ্গে আঞ্চলিক সংঘাত তৈরি হতে পারে। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইউক্রেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র যদি ন্যাটোকে সমর্থন না দেয় তা হলে রাশিয়ার কাছে জোটটি দুর্বল হিসেবে বিবেচিত হবে। তা ছাড়া উত্তর মেরু নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে ন্যাটোর উত্তেজনা দিন দিন বাড়ছে। রাশিয়া এরই মধ্যে নিজেদের সক্ষমতা বাড়াতে সামরিক সরঞ্জাম আধুনিকীকরণের পাশাপাশি উৎপাদন কার্যক্রম বাড়িয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। তবে এখনই রাশিয়া কোনো সংঘাতে জড়াবে না বলেও মনে করছে গোয়েন্দা সংস্থাটি। কেননা একই সঙ্গে ইউক্রেন ও অন্য কোনো ভূখণ্ডে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া ভøাদিমির পুতিনের পক্ষে সম্ভব নয়।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর গ্রিনল্যান্ড দ্বীপ নিয়ে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। তবে ইউরোপের সঙ্গে যুদ্ধে রাশিয়া গ্রিনল্যান্ড ও ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জকে জড়াবে না বলে ধারণা ডেনমার্কের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার। তাদের মতে, এই অঞ্চল ঘিরে ইউরোপের চেয়ে বরং যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত স্বার্থ বেশি। এদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মাঝে ফোনকলে আলোচনার ঘটনায় ইউরোপ ঈর্ষান্বিত এবং ক্ষুব্ধ। কারণ এই দুই নেতার ফোনকলে বৈশ্বিক পর্যায়ে ইউরোপের শক্তি যে দুর্বল হয়ে গেছে, সেটি পরিষ্কার হয়েছে।