ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১

বিশ্ব রাজনীতির নতুন মোড়: ইউক্রেন একদিন রাশিয়ার হতে পারে!

প্রকাশিত: ১১:১০, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বিশ্ব রাজনীতির নতুন মোড়: ইউক্রেন একদিন রাশিয়ার হতে পারে!

ছবি: সংগৃহিত।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, “ইউক্রেন হয়তো রাশিয়ার সঙ্গে কোনো সমঝোতা করতে পারে। আবার এমনও হতে পারে যে, একদিন ইউক্রেন রাশিয়ার হয়ে যাবে।” ট্রাম্পের এই মন্তব্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুমুল আলোচনা ও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার মন্তব্যে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে সমঝোতার সম্ভাবনার কথা বললেও এ নিয়ে স্পষ্ট কোনো দিকনির্দেশনা দেননি। তিনি কিয়েভের সঙ্গে বিরল খনিজ সম্পদ নিয়ে একটি বাণিজ্য চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছেন এবং দাবি করেছেন যে, তাদের ৫০০ বিলিয়ন ডলারের মূল্যের সম্পদ আহরণে যুক্তরাষ্ট্র সমান অংশীদার হতে চায়। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইতোমধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, তারা নিরাপত্তার নিশ্চয়তার বিনিময়ে সম্পদ আহরণে অংশীদারিত্বে আগ্রহী।

ট্রাম্প আরও বলেছেন, যদি তিনি ২০২২ সালে ক্ষমতায় থাকতেন, তাহলে এই যুদ্ধ কখনোই শুরু হতো না। তিনি যুদ্ধের দ্রুত সমাপ্তির জন্য রাশিয়া ও ইউক্রেনকে আলোচনার টেবিলে আনার পরিকল্পনা করছেন। তবে তিনি আগেই ইউক্রেনের বিশাল সামরিক সহায়তা বন্ধ করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।

এদিকে, রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ জানিয়েছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ হতে হলে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দেওয়া শর্তগুলো মেনে নিতে হবে। এসব শর্তের মধ্যে রয়েছে, ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের ইচ্ছা ত্যাগ করা এবং রাশিয়ার দাবি করা চারটি অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার। রিয়াবকভ বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলো যত দ্রুত এই শর্ত মেনে নেবে, তত দ্রুত যুদ্ধের অবসান হবে।

পুতিনের এই শর্তগুলোকে ইতোমধ্যেই ইউক্রেন আত্মসমর্পণের শামিল বলে উল্লেখ করেছে। কিয়েভের দাবি, তারা ন্যাটো জোটে যোগ দিতে চায় এবং রাশিয়ার কাছে খোয়ানো অঞ্চলগুলো পুনরুদ্ধারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

এই পরিস্থিতিতে, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি আলোচনার ভবিষ্যৎ নিয়ে বিশ্বজুড়ে আলোচনা চলছে। ট্রাম্পের বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে পরিবর্তনের ইঙ্গিত মিললেও, এই যুদ্ধ সমাধানে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা কতটা সফল হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে।

সায়মা ইসলাম

×