ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১

রাশিয়ার ওপর নতুন করে আমেরিকার কঠোর নিষেধাজ্ঞা

অনলাইন রিপোর্টার

প্রকাশিত: ১০:২১, ১১ জানুয়ারি ২০২৫

রাশিয়ার ওপর নতুন করে আমেরিকার কঠোর নিষেধাজ্ঞা

রাশিয়া ও আমেরিকা।

বিদায় নেওয়ার মাত্র কয়েকদিন আগে রাশিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন। জ্বালানিখাতের ওপর এই নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য ইউক্রেনে যুদ্ধ চালানোর জন্য মস্কোর শক্তি আয়ের উৎসকে বাধাগ্রস্ত করা।

এই পদক্ষেপটি ২০০টিরও বেশি সংস্থা ও ব্যক্তিকে লক্ষ্যবস্তু করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ব্যবসায়ী, কর্মকর্তারা, বীমা কোম্পানি এবং শত শত তেল ট্যাংকার।

ইউক্রেনে মস্কোর সর্বাত্মক আগ্রাসনের পর প্রথমবারের মতো যুক্তরাজ্য জ্বালানি কোম্পানি গ্যাজপ্রম নেফ্ট এবং সুরগুটনেফটেগাসের ওপর সরাসরি নিষেধাজ্ঞা আরোপে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগ দেবে।

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব ডেভিড ল্যামি বলেন, ‘রাশিয়ার তেল কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া রাশিয়ার যুদ্ধ তহবিলকে শূন্য করবে। আমরা পুতিনের হাত থেকে যত রুবল ছিনিয়ে নিতে পারি, ততই ইউক্রেনীয়দের জীবন রক্ষা পাবে।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি কর্তৃক ঘোষিত কিছু পদক্ষেপ আইনে পরিণত হবে। ফলে আসন্ন ট্রাম্প প্রশাসন যদি সেগুলো প্রত্যাহার করতে চায় তবে তাদের কংগ্রেসের সহযোগিতা প্রয়োজন হবে।

ওয়াশিংটন রাশিয়ার জ্বালানি ক্রয়ের উপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের পাশাপাশি মস্কোর "ছায়া বহর" ট্যাংকারগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে, যা বিশ্বজুড়ে তেল পরিবহনে ব্যবহৃত হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সচিব জ্যানেট ইয়েলেন বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞাগুলো রাশিয়ার তেল বাণিজ্যের সাথে সংশ্লিষ্ট শিপিং এবং আর্থিক সহায়তার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, রুশ নেতা ভ্লাদিমির পুতিন কঠিন অবস্থায় আছেন এবং তাকে কোনো সুযোগ দেওয়া যাবে না যাতে তিনি ভয়ঙ্কর কাজ চালিয়ে যেতে পারেন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রকে  "দ্বিদলীয় সমর্থন" এর জন্য ধন্যবাদ জানান। ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে রাশিয়ার শক্তি রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের জন্য তেলের দামের ঊর্ধ্বসীমা অন্যতম প্রধান পদক্ষেপ।

তবে আটলান্টিক কাউন্সিলের গ্লোবাল এনার্জি সেন্টারের ওলগা খাকোভার মতে, এর কার্যকারিতা হ্রাস পেয়েছিল। কারণ, এটি রাশিয়ার তেলের পরিমাণ বাজার থেকে কমে যাওয়া ঠেকানোর চেষ্টা করেছিল।

আটলান্টিক কাউন্সিলের বিশিষ্ট ফেলো ড্যানিয়েল ফ্রিড বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের তেল উৎপাদন (এবং রপ্তানি) রেকর্ড পর্যায়ে এবং বাড়ছে। ফলে রাশিয়ার তেল বাজার থেকে সরানোর প্রভাব- যা আজকের নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য কম হবে। যুক্তরাষ্ট্র সরকার রাশিয়ার তেল খাতের বিরুদ্ধে বড় আকারে পদক্ষেপ নিয়েছে, যা সম্ভবত রাশিয়ার জন্য একটি বড় আঘাত হতে পারে।

ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত জন হার্বস্ট বলেছেন, এই পদক্ষেপগুলো অসাধারণ। তবে এর বাস্তবায়ন গুরুত্বপূর্ণ। যা অর্থ ট্রাম্প প্রশাসনকে নিশ্চিত করতে হবে যে এই পদক্ষেপগুলো সত্যিই রাশিয়ার অর্থনীতির ওপর চাপ সৃষ্টি করে।

সূত্র: বিবিসি।

এম হাসান

×