ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

aiub
aiub

ইংল্যান্ড-ওয়েলসে ৭৫ বছরের মধ্যে রেকর্ড জনসংখ্যা বৃদ্ধি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:৩৫, ১৬ জুলাই ২০২৪

ইংল্যান্ড-ওয়েলসে ৭৫ বছরের মধ্যে রেকর্ড জনসংখ্যা বৃদ্ধি

ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের জনসংখ্যা রেকর্ড

ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের জনসংখ্যা রেকর্ড অভিবাসনের কারণে ২০২২ সালের মাঝামাঝি থেকে ২০২৩-এর মাঝামাঝি ৬ লাখ ১০ হাজার থেকে বেড়ে ৬ কোটি ৯০ লাখ হয়েছে। সরকারি তথ্যে দেখা গেছে, এটি ৭৫ বছরের মধ্যে বার্ষিক সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা বৃদ্ধির ঘটনা। খবর বিবিসির।
পরিসংখ্যানবিদরা জন্ম ও মৃত্যুর পার্থক্যের ভিত্তিতে যাকে প্রাকৃতিক জনসংখ্যা বৃদ্ধি বলেন, ওই সময় তা হ্রাস পেয়ে মাত্র ৪০০ জনে দাঁড়িয়েছিল (যা ১৯৭৮ সালের পর থেকে সবচেয়ে কম)। কিন্তু একই সময় অভিবাসীর সংখ্যা বেড়েছে ৬ লাখ ২২ হাজার জন। এর আগের ১২ মাসে যা ৫ লাখ ৪৮ হাজার ৫০০ জন ছিল। এ সময় ইংল্যান্ড ও ওয়েলস থেকে অভিবাসীসহ ১৩ হাজার ৮০০ জন আবার স্কটল্যান্ড বা নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডে চলে যান।

ব্রিটেনের জাতীয় পরিসংখ্যান দপ্তর জানিয়েছে, ১৯৪৮ সালের পর থেকে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে জনসংখ্যার এ বৃদ্ধি সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পরে জন্মহারে হঠাৎ বৃদ্ধি এবং বিদেশে কর্মরত ব্রিটিশ সামরিক সদস্যরা দেশে ফিরে আসার ফলে জনসংখ্যা ১৫ লাখ বৃদ্ধি পেয়েছিল। ২০২২ সালের মাঝামাঝি পুরো যুক্তরাজ্যের জনসংখ্যা ছিল ৬ কোটি ৭৬ লাখ। ২০২৩ সালের তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। 
তবে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার সঙ্গে তাল মিলিয়ে অর্থনৈতিক উৎপাদন হয়নি। অস্থায়ী জনসংখ্যার পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে ২০২৩ সালে মাথাপিছু মোট দেশজ উৎপাদন এক বছর আগের তুলনায় শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ কম ছিল। ২০২২ সালে যুক্তরাজ্যে মোট অভিবাসীর সংখ্যা রেকর্ড ৭ লাখ ৬৪ হাজারে পৌঁছে। ২০২৩ সালে ১০ শতাংশ কমে তা ৬ লাখ ৮৫ হাজারে দাঁড়ায়। তবে ব্রেক্সিট গণভোটের ঠিক আগে ২০১৫ সালে এর মাত্রা দ্বিগুণেরও বেশি ছিল। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার পক্ষে ভোট দেওয়া অনেক ব্রিটিশ নাগরিকের মূল লক্ষ্য ছিল অভিবাসন কমানো। ব্রিটেনের পূর্ববর্তী কনজারভেটিভ সরকার বলেছিল, তারা অভিবাসন হ্রাস করতে চায়।

×