ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২

সন্তানের কষ্টে আত্মহত্যা করতে চান অনেক মা

খাবার পাচ্ছে না গাজাবাসী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:১৬, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

খাবার পাচ্ছে না গাজাবাসী

খাবার না পেয়ে কাঁদছে গাজার শিশুরা

ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে ১০ বছরের ইউসুফ আল-নাজ্জার নগ্নপায়ে দৌড়ে আসে গাজা সিটির একটি কমিউনিটি কিচেনে মানে লঙ্গরখানায়, হাতে একটি পুরানো হাঁড়ি। কিন্তু এসে দেখে, শত শত মানুষ ইতোমধ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। ‘পাছে সুযোগ পাবে না, এই ভয়ে মানুষ ঠেলাঠেলি করে ছোট ছোট বাচ্চারা পড়ে যায়,’ ফিসফিস করে বলছিল ইউসুফ।

প্রতিদিন হাজার হাজার গাজাবাসী, বিশেষ করে শিশুরা, পরিবারকে খাবার জোগাতে কমিউনিটি কিচেনগুলোর দিকে ছোটে। গত ২ মার্চ থেকে ইসরাইল গাজার ওপর সমস্ত ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার পর মানবিক সংকট মারাত্মকভাবে বেড়ে গেছে। যুদ্ধবিরতি ভেঙে পুনরায় সামরিক অভিযান শুরুর কয়েকদিন আগে থেকেই এই অবরোধ জারি হয়। সরবরাহ ক্রমশ কমে আসছে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে, তারা কমিউনিটি কিচেনগুলোতে তাদের ‘শেষ খাদ্য মজুত’ পাঠিয়ে দিয়েছে।
যুদ্ধে বাবা নিহত হওয়ার পর ইউসুফের কাঁধে পুরো পরিবারের ভার এসে পড়েছে। খবর আলজাজিরা অনলাইনের। 
তার স্বপ্ন খেলনা বা খেলার জগৎ নিয়ে নয়; বরং করুণ এক বাসনা : মায়ের ও বোনের সঙ্গে শান্তিতে বসে একসঙ্গে খাওয়া। এজন্য প্রতিদিন সকালে সে কমিউনিটি কিচেনে দৌড়ে যায়। ‘অনেক সময় ভিড়ের মধ্যে আমার হাঁড়ি হাতছাড়া হয়ে পড়ে যায়, আর খাবার মাটিতে পড়ে যায়। তখন আমি খালি হাতে বাড়ি ফিরি... আর সেই কষ্ট ক্ষুধার চেয়েও বেশি যন্ত্রণাদায়ক।

এক ফুটেজে দেখা যায়, গাজা সিটির এক কমিউনিটি কিচেনের সামনে অগণিত ছেলে-মেয়ে হাঁড়ি-পাত্র নিয়ে ভিড় করছে, হুমড়ি খেয়ে খাবারের জন্য এগিয়ে যাচ্ছে। এক তরুণকে দেখা যায়, এক বালকের দিকে ধাক্কা দিয়ে ধাতব হাঁড়ি ছুড়ে মারছে, যখন সে সদ্য রান্না করা ভাতের একটি পাত্রের দিকে এগোচ্ছিল। আরেকটি কিচেনে বাস্তুচ্যুত গাজাবাসী মোহাম্মদ আবু সানাদ বলেন, ‘আমি পাঁচ ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছি শুধু একটা চালের থালা পাওয়ার জন্য। ‘আমার কোনো আয় নেই।

ফ্রি কিচেন থেকে খাবার পেলে খাই, না পেলে না খেয়েই থাকতে হয়।মনে হয় ক্ষুধায় মরে যাচ্ছি। ডব্লিউএফপি, গাজার অন্যতম প্রধান খাদ্য সহায়তা সংস্থা, জানিয়েছে এই কমিউনিটি কিচেনগুলোও ‘কয়েকদিনের মধ্যেই’ খাবারের মজুত ফুরিয়ে যাবে। ৪২ বছর বয়সী আইদা আবু রায়ালা বললেন, এখন প্রয়োজন আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। ‘ঘরে একফোঁটা ময়দাও নেই, রুটি নেই, কোনো উপায় নেই সন্তানদের খাওয়ানোর।

প্রচণ্ড রোদের মধ্যে কিংবা কখনো ঠান্ডায়, আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকি,’ বললেন নুসাইরাত এলাকার এই বাসিন্দা। ‘অনেকদিন এমনও হয় যে, ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও খাবার শেষ হয়ে যায়। বিমান হামলায় রায়ালার বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। এখন তারা পাতলা নাইলনের একটি তাঁবুতে বাস করছেন। একদিন তিন ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি, পায়ে ফোসকা পড়ে গিয়েছিল।

×

শীর্ষ সংবাদ:

যেই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবে তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে: আমীর খসরু
জামায়াত নেতারা রাজাকার হলে পাকিস্তানে গাড়ি বাড়ি থাকতো : শামীম সাঈদী
এনসিপির সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পৃক্ততা নেই- উমামা ফাতেমা
‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে আটকদের অধিকাংশই ভারতীয় মুসলমান
ইয়েমেনে হামলা চালিয়েই সাগরে ডুবে গেল মার্কিন সর্বাধুনিক যুদ্ধবিমান
জামিন পেলেননা তারেক রহমানের খালাতো ভাই তুহিন
লন্ডনে আজ আর্সেনাল পিএসজি মহারণ
১৭ অভিনয়শিল্পীর নামে মামলা, তালিকায় আছেন নুসরাত ফারিয়া-অপু বিশ্বাস-ভাবনাসহ অনেকেই
১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ড্র অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল
স্বর্ণের দাম, রেকর্ড উচ্চতা থেকে পতনের পথে
কুমিল্লায় পুলিশ-সেনাবাহিনীর চাকরির নামে প্রতারণা: দালালসহ ১৩ জন গ্রেফতার
১২ বছর বয়সী ছেলে শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে ৩ মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেফতার