ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১

তাইওয়ানের আকাশে চীনা মহড়া

বেজিংয়ের সতর্কবার্তা

প্রকাশিত: ২১:০৪, ১৮ মার্চ ২০২৫

তাইওয়ানের আকাশে চীনা মহড়া

স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপটির আকাশে মহড়া দিয়েছে ৫৯টি চীনা বিমান

তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার জানিয়েছে, স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপটির আকাশে মহড়া দিয়েছে ৫৯টি চীনা বিমান। দ্বীপটির প্রেসিডেন্ট লাই চিং তে চীনকে বিদেশী শত্রু শক্তি বলে অভিহিত করার কয়েকদিন পর এমন ঘটনা ঘটলো। খবর এনডিটিভির।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৫৯টি যুদ্ধবিমানের পাশাপাশি নয়টি চীনা যুদ্ধজাহাজ এবং দুটি বেলুনও শনাক্ত করা হয়েছে। আর এগুলো শনাক্ত করা হয়েছে স্থানীয় সময় সোমবার সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। মন্ত্রণালয় পৃথক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিমানগুলোর মধ্যে ৫৪টি সোমবার যৌথ যুদ্ধ টহলে অংশ নিয়েছিল। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই পদক্ষেপ তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির জন্য একটি কঠোর সতর্কবার্তা।

চীন জোর দিয়ে বলেছে, গণতান্ত্রিক তাইওয়ান তার ভূখ-ের অংশ এবং দ্বীপটিকে তার নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করব। বেজিং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাইওয়ানের চারপাশে যুদ্ধবিমান এবং নৌযান মোতায়েন বাড়িয়েছে, যা তাইপেই প্রত্যাখ্যান করে। গত বৃহস্পতিবার, লাই চীনকে বিদেশী শত্রু শক্তি হিসেবে আখ্যা দেন। এ ছাড়া তিনি দ্বীপটিতে চীনা অনুপ্রবেশের তীব্রতা রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তাব করেন।

বেজিংয়ের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং তের বিচ্ছিন্নতাবাদ প্রচারের প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই মহড়া চালানো হয়েছে। তাইওয়ান পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় চীনকে সমস্যা সৃষ্টিকারী বলে অভিহিত করেছে। গণতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ মনে করে চীন। দেশটি প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগের কথা অস্বীকার করেনি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দ্বীপটির ওপর সামরিক ও রাজনৈতিক চাপ বাড়িয়েছে।

তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চীন যৌথ যুদ্ধ প্রস্তুতি টহল পরিচালনা করেছে। একটি সকালে এবং একটি বিকেলে। যার মধ্যে ৫৪টি চীনা যুদ্ধবিমান এবং ড্রোন তাইওয়ানের কাছে উড়েছে। তারা জানিয়েছে, চীনা বিমানগুলো তাইওয়ানের উত্তর, পশ্চিম, দক্ষিণ-পশ্চিম এবং পূর্ব আকাশসীমায় উড়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান ও নৌবাহিনী তাদের পর্যবেক্ষণে নিয়োজিত ছিল।

এর মধ্যে ৪২টি বিমান তাইওয়ান প্রণালীর মধ্যরেখা, যা দুই পক্ষের মধ্যে একটি অনানুষ্ঠানিক বাফার জোন হিসেবে বিবেচিত, অতিক্রম করেছে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। চীনের তাইওয়ান বিষয়ক কার্যালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, যদি লাই প্রশাসন উস্কানি দেয় এবং আগুন নিয়ে খেলে তবে এটি শুধু তাদের নিজের ধ্বংস ডেকে আনবে।

×