
ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তান সরকার কমনওয়েলথভুক্ত দেশের নাগরিকদের জন্য সিটিজেনশিপ বাই ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম চালু করেছে, যার মাধ্যমে মাত্র ৫ মিলিয়ন রুপি (প্রায় ১৮,০০০ মার্কিন ডলার) বিনিয়োগের মাধ্যমে পাকিস্তানের নাগরিকত্ব অর্জন করা যাবে।
প্রোগ্রামের প্রধান বৈশিষ্ট্য:
সময়কাল: সাধারণত ৫ বছরে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি, তবে নাগরিকত্ব অনুমোদনের পরপরই পাওয়া যাবে।
ন্যূনতম বিনিয়োগ: ৫ মিলিয়ন রুপি (প্রায় ১৮,০০০ মার্কিন ডলার), যা পাকিস্তানের স্টেট ব্যাংকে স্থানান্তর করতে হবে।
শারীরিক উপস্থিতি: আবেদনকারীর ব্যক্তিগতভাবে পাকিস্তানে উপস্থিত হয়ে আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
প্রক্রিয়ার সময়: সাধারণত ২-৩ মাস।
ভিসামুক্ত প্রবেশ: পাকিস্তানি নাগরিকত্বের মাধ্যমে ৩৩টি দেশে ভিসামুক্ত প্রবেশের সুবিধা পাওয়া যাবে, যার মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ভিয়েতনাম রয়েছে।
আবেদন প্রক্রিয়া ও প্রয়োজনীয় নথিপত্র:
আবেদনকারীদের অবশ্যই কমনওয়েলথভুক্ত ৫৪টি দেশের একজন নাগরিক হতে হবে, যার মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং মালয়েশিয়া। আবেদনপত্রের সঙ্গে নিম্নলিখিত নথিপত্র জমা দিতে হবে—
১০টি সাম্প্রতিক পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি (৪×৪.৫ সেমি), হালকা নীল ব্যাকগ্রাউন্ডসহ, একটি ছবি সামনে এবং অপরটি পেছনে সত্যায়িত।
মূল ব্যাংক প্রক্রিয়ার সার্টিফিকেট, যা ৫ মিলিয়ন রুপি (প্রায় ১৮,০০০ ডলার) পাকিস্তানে স্থানান্তরের প্রমাণ হিসেবে কাজ করবে।
চলমান পাসপোর্টের অনুলিপি।
নাগরিকত্ব প্রাপ্তির প্রক্রিয়া:
স্টেট ব্যাংক ট্রান্সফার নিশ্চিত করার পর অভিবাসন ভিসা ইস্যু করা হবে। পাকিস্তানে পৌঁছানোর পর নিরাপত্তা যাচাই ও আনুষ্ঠানিকতার পর নাগরিকত্বের সনদ প্রদান করা হবে।
এই প্রক্রিয়া সহজ মনে হলেও, স্থানীয় বিশেষজ্ঞদের মতে প্রকৃতপক্ষে এটি বেশ জটিল এবং সতর্কতার সঙ্গে এগোনো উচিত।
তথ্যসূত্র: https://www.imidaily.com/pakistan-commonwealth-cip/
আবীর