ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৬ মার্চ ২০২৫, ২২ ফাল্গুন ১৪৩১

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ০০:৪৩, ৬ মার্চ ২০২৫

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু

সামরিক মহড়া শুরু

এশিয়ার দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে সবচেয়ে বড় বাৎসরিক সামরিক মহড়া ‘কোবরা গোল্ড’ শুরু হয়েছে থাইল্যান্ডে। যুক্তরাষ্ট্র ও থাইল্যান্ডের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই মহড়ায় অংশ নিচ্ছে ৩০টি দেশের ৮ হাজারেরও বেশি সেনাসদস্য। আধুনিক যুদ্ধের কৌশল নিয়ে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি এবারের মহড়ায় সাইবার প্রতিরক্ষা ও মহাকাশ কার্যক্রমের মতো নতুন সংযোজনও রাখা হয়েছে। আগামী ৭ মার্চ পর্যন্ত চলবে ৪৪তম কোবরা গোল্ড মহড়া। খবর রয়টার্সের।
থাইল্যান্ডের নাখোন রাচাসিমার সামরিক ঘাঁটিতে চলছে ব্যস্ততা। সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছেন বিভিন্ন দেশের সেনারা প্রস্তুত মহড়ার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের জন্য। আকাশে গর্জন তুলে উড়ে যাচ্ছে যুদ্ধবিমান। একই সঙ্গে উত্তোলন করা হচ্ছে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর পতাকা। ঐতিহ্যবাহী নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে বুধবার শুরু হয় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম সামরিক মহড়া ‘কোবরা গোল্ড’।

এবারের মহড়ায় শুধু সাধারণ সামরিক অনুশীলনই নয়, যুক্ত হয়েছে নতুন কিছু প্রযুক্তিগত কৌশলও। কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল প্রশিক্ষণ, মানবিক সহায়তা কার্যক্রম, যুদ্ধক্ষেত্রের কৌশলগত অনুশীলন, সাইবার নিরাপত্তা এবং ড্রোন মোকাবিলা পদ্ধতি নিয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন সামরিক বিশেষজ্ঞরা। যুদ্ধক্ষেত্রে উদীয়মান প্রযুক্তির গুরুত্ব মাথায় রেখে এবছর মহাকাশ সংক্রান্ত সামরিক কার্যক্রমের ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে এ মহড়ায়।

একজন কর্মকর্তা বলছিলেন, প্রতি বছর আমরা চেষ্টা করি বিশ্বে কী ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে তা পর্যালোচনা করতে। এজন্যই আমরা এই মহড়ায় সাইবার নিরাপত্তা অন্তর্ভুক্ত করছি। ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, এছাড়া আমরা মহাকাশ প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করছি, ড্রোন হামলা মোকাবিলার পদ্ধতিও যুক্ত করছি। বিশেষ করে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি আধুনিক যুদ্ধের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। মহড়াটি আন্তর্জাতিকভাবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। 
যুক্তরাষ্ট্র ও থাইল্যান্ডের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই মহড়ায় অংশ নিচ্ছেন ৩০টি দেশের ৮ হাজারেরও বেশি সেনাসদস্য। এই মহড়ার মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো পারস্পরিক সামরিক সহযোগিতা বাড়ানোর পাশাপাশি আঞ্চলিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আরও শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে চায়।

নতুন ধরনের হুমকি মোকাবিলায় কৌশলগত দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি এই মহড়া অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকরা।

×