
গাজার বিদ্যুৎ-পানি সরবরাহ বন্ধ
ফিলিস্তিনের গাজায় গত ১৯ জানুয়ারি থেকে চলছে যুদ্ধবিরতি। তিন ধাপের এ যুদ্ধবিরতির ৪২ দিনের প্রথম ধাপ শেষ হয়েছে গত ১ মার্চ। এরই মধ্যে কাতারে শুরু হয়েছে ইসরাইল-হামাস দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা। কিন্তু এ অবস্থায় হঠাৎ করে ১ মার্চ থেকে গাজায় সব ধরনের ত্রাণসামগ্রী প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে। হামাসের ওপর আরও চাপ প্রয়োগ করতে এবার ত্রাণের পর এই রমাজান মাসে গাজায় বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিচ্ছে বর্বর ইসরাইল। খবর মিডলইস্ট আইয়ের।
এদিকে ইসরাইলি ড্রোন হামলায় গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে দুই ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। খান ইউনিসে বিমান থেকে আসা গুলিতে তিন জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার গাজার চিকিৎসাকর্মীরা হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। গত ২ মার্চ গাজার খান ইউনিসের কাছে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর গুলিতে কমপক্ষে পাঁচজন নিহত এবং ২১ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। মানবাধিকার সংস্থাগুলো ইসরাইলের এই বর্বর আচরণের নিন্দা জানিয়েছে।
ইসরাইলি সম্প্রচারমাধ্যম কান-১১ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ গাজা উপত্যকায় পানি ও বিদ্যুৎ বন্ধ করার পরিকল্পনা করছে এবং উত্তর গাজা থেকে বাস্তুচ্যুত করে এখানকার বাসিন্দাদের দক্ষিণে বিতাড়িত করার চাপ প্রয়োগ করবে। সরকারের পরিকল্পনাটি গাজা উপত্যকা এবং হামাসের ওপর সবচেয়ে বড় চাপ প্রয়োগ করার একটি কৌশলের অংশ। যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম পর্ব গত শনিবার শেষ হওয়ার পর গত রবিবার থেকেই গাজা উপত্যকায় ত্রাণ প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে।