![পশ্চিমতীরে বাস্তুচ্যুতি বাড়ছে পশ্চিমতীরে বাস্তুচ্যুতি বাড়ছে](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/in-1-2502111507.jpg)
পশ্চিমতীরে বাস্তুচ্যুতি বাড়ছে
ফিলিস্তিনিদের জন্য জাতিসংঘ পরিচালিত শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডাব্লিউএ জানিয়েছে, অধিকৃত পশ্চিমতীরের উত্তরাঞ্চলে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে চলেছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডেনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরাইলের যুদ্ধাপরাধী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সৌদি ভূখণ্ডে একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার যে আহ্বান জানিয়েছেন তার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইরান ও সৌদি আরব। খবর আলজাজিরার।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেছেন, এটি হচ্ছে নজিরবিহীন আগ্রাসনের পরিকল্পনা যা আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তাকে মারাত্মকভাবে হুমকির মধ্যে ফেলেছে। তিনি মঙ্গলবার সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহানের সঙ্গে এক ফোনালাপে এ নিন্দা জানান। নেতানিয়াহুর বক্তব্যকে ভয়ঙ্কর উস্কানি হিসেবে উল্লেখ করে আরাগচি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এ ধরনের বাগাড়ম্বর ইহুদিবাদী ইসরাইলের সম্প্রসারণবাদী উচ্চাকাক্সক্ষার স্বরূপ উন্মোচন করে দিয়েছে।
ফিলিস্তিনি জনগণকে জোরপূর্বক তাদের অবশিষ্ট ভূখণ্ড থেকেও বিতাড়িত করা এবং অবৈধ ইহুদি বসতির বিস্তার ঘটানোর যে অভিপ্রায় তেলআবিব প্রকাশ করেছে তারও তীব্র নিন্দা জানান ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিকে আগামী শনিবার দুপুরের মধ্যে গাজায় হামাসের হাতে থাকা সব জিম্মির মুক্তি দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তা না হলে সেদিনই ইসরাইল-হামাস যুদ্ধবিরতি বাতিল করার প্রস্তাব করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
মঙ্গলবার ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় ট্রাম্প হামাসের মুক্তি দেওয়া ইসরাইলি জিম্মিদের অবস্থা দেখে এবং হামাসের নির্ধারিত আরও জিম্মি মুক্তি স্থগিত করার ঘোষণায় হতাশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, যতদূর আমার মনে হয়, যদি শনিবার দুপুর ১২টার মধ্যে সব জিম্মিকে ফিরিয়ে না দেওয়া হয় তাহলে এটাই উপযুক্ত সময়। আমি বলব, এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাতিল হয়ে যাক।
ইউএনআরডাব্লিউএ জানিয়েছে, মঙ্গলবার ইসরাইলি বাহিনী জেনিনে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং হেবরনের কাছে বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ধ্বংস করেছে। ২১ জানুয়ারি থেকে ইসরাইলি বাহিনী জেনিন শরণার্থী শিবির ও আশপাশের শহরগুলোতে সামরিক অভিযান চালিয়ে আসছে, যা এখন অন্যান্য এলাকাতেও ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে জেনিন, তুলকারেম, নূর শামস ও ফারা শরণার্থী শিবিরগুলো প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়েছে।
এটি ২০০০ সালের দ্বিতীয় ইন্তিফাদার পর পশ্চিম তীরে সবচেয়ে দীর্ঘ সামরিক অভিযান। সংস্থাটির মতে, এই চারটি শরণার্থী শিবিরে প্রায় ৭৬ হাজার ৬শ’ ফিলিস্তিনি শরণার্থী বসবাস করতেন। কিন্তু ইসরাইলি বাহিনীর বারবার ধ্বংসাত্মক অভিযানের ফলে এসব শিবির বসবাসের অনুপযোগী হয়ে গেছে এবং এখানকার বাসিন্দারা বাধ্য হয়ে বাস্তুচ্যুত হচ্ছেন।