সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নীতিমালা বিষয়ক ডিজিটাল আইন সংশোধনের প্রতিবাদে পাকিস্তানজুড়ে শুরু হয়েছে তুমুল বিক্ষোভ। বুধবার দেশটির বিভিন্ন জায়গায় রাজপথে নামেন শত শত সাংবাদিক। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। ঘটে ধরপাকড়ের ঘটনাও। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। খবর ডনের। সামাজিক মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য ছড়ালে ২০ লাখ রুপি জরিমানা কিংবা তিন বছরের কারাদণ্ড- পাকিস্তানের পার্লামেন্টে প্রস্তাবিত এই আইন নাড়িয়ে দিয়েছে দেশটির গণমাধ্যমকে। গত সপ্তাহে পাকিস্তানের ‘ইলেকট্রনিক অপরাধ প্রতিরোধ আইন-২০১৬’ তে নতুন কিছু সংশোধনীর প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। সিনেটে পাস হওয়া এই প্রস্তাব আইনে পরিণত হতে এখন শুধু প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা। তবে এই আইনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তানের গণমাধ্যমকর্মীরা। তারা বলছেন, নতুন এই আইন পাস হলে তা দেশটির গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণের জন্য ব্যবহার করা হতে পারে। প্রস্তাবটি প্রত্যাহারের দাবিতে ইসলামাবাদ, করাচি এবং লাহোরে পাকিস্তান ফেডারেল ইউনিয়ন অব জার্নালিস্টের কর্মীরা সমাবেশ, বিক্ষোভে নামেন। পুলিশি বাধা উপেক্ষা করেই চেষ্টা করেন কাঁটাতারের বেড়া সরিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার। তবে এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধার সম্মুখীন হন তারা। স্থানীয় সাংবাদিকরা বলছেন, সরকারের জারি করা এই নতুন আইনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের বাক স্বাধীনতার মতো মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। এখন যদি একজন সাংবাদিক কোনো প্রশ্ন করে এবং শাসকদের তা পছন্দ না হয় তবে আপনাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে।