ছবি: সংগৃহীত
ভারতের সাথে বাংলাদেশের কয়েক হাজার কিলোমিটারের সীমান্ত রয়েছে যা নিয়ে প্রায়ই দুই দেশের মধ্যে টানাপড়েন দেখা যায়। সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকানোর নামে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ এর গুলিতে হত্যার শিকার কয়েক ডজন বাংলাদেশি। তবুও চুপচাপ ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকার। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার পতন হলে ভারতের সাথে ঢাকার সম্পর্ক কিছুটা টানটান উত্তেজনা তৈরি হয়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক নেতারা প্রায়ই বাংলাদেশকে কটাক্ষ করে বিভিন্ন ধরণের বক্তব্য দিয়ে আসছেন। যদিও ঢাকা দিল্লির সেই কটাক্ষের বেশ কয়েকবার জবাবও দিয়েছে। সীমান্ত নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে এবার আগুনে ঘি ঢেলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।
সম্প্রতি ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আগামী বছরের মধ্যে নয়া দিল্লি থেকে অবৈধ বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের তাড়ানোর দেন। দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনের এমন প্রচারণায় এমন ঘোষণা দেন তিনি। অমিত শাহর ওই মন্তব্য প্রসঙ্গে ২৮ জানুয়ারি এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।
কয়েকদিন ধরেই চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চৌকা সীমান্ত দিয়ে চলছে দিল্লি ও ঢাকার মধ্যে চরম উত্তেজনা। সীমান্তের আন্তর্জাতিক সীমানারেখা পার করে বাংলাদেশের ভূমিতে কাটাতারের বেড়া নির্মাণকে কেন্দ্র করে বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে চলছে টানাপোড়েন। দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টির সুরাহা হলেও গত ১৮ জানুয়ারি বাংলাদেশের ভেতরে এসে গাছ কাটতে উদ্যত হয় ভারতের বিএসএফ।
আর এতেই চৌকা সীমান্তের কাছে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। এমন উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ সীমান্তে কাটাতারের বেড়া নির্মাণে জাম অধিগ্রহণ করতে অনুমোদন দিয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কাটাতারের বেড়া নির্মাণে জমি অধিগ্রহণের অনুমোদন দেয় দেয় মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন মন্ত্রীসভা।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নদী জেলার করিমপুরে বাংলাদেশ সীমান্তে কাটাতারের বেড়া নির্মাণে জমি অধিগ্রহণের অনুমোদন দেয় মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন মন্ত্রীসভা।
২৮ জানুয়ারি এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
ভিডিও লিংক: https://www.youtube.com/watch?v=f9WbUGNE--8
শিহাব