ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সম্পর্ক আরও গভীর হতে চলেছে। এবার দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবা চালুর কথা ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার, পেশোয়ারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের হাই কমিশনার (রাষ্ট্রদূত) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন এ ঘোষণা দেন। বর্তমানে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি কোনও বিমান যোগাযোগ নেই। নতুন এই পরিষেবা চালু হলে দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ইকবাল। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ‘দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন’এর বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই।
বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানের উদ্দেশে কবে বিমান উড়বে, তা অবশ্য খোলসা করেনি দূতাবাস। এই ধরনের বিমান পরিষেবা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। শীঘ্রই তা চালু হবে বলে ইঙ্গিতও মিলেছে। দুই দেশের গভীর এবং দৃঢ় সম্পর্ক উল্লেখ করে ইকবাল জানিয়েছেন, সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু হলে শুধু যোগাযোগ বা যাতায়াতের ক্ষেত্রে নয়, পর্যটন, শিক্ষা এবং বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও লাভবান হবে ঢাকা এবং ইসলামাবাদ।
সম্পর্কে সম্মতি থাকলেই হেনস্থার লাইসেন্স পাওয়া যায় না, ধর্ষণের অভিযোগ খারিজের পর বলল কোর্ট
পাকিস্তানে প্রচুর বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত। খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কথা আলাদা করে উল্লেখ করেছেন তিনি। তাঁর মতে, পাকিস্তানের ওই প্রদেশে স্বাস্থ্য এবং বৃহৎ শিল্পে বিনিয়োগ করতে পারেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশে উৎপন্ন পণ্যের চাহিদাও পাকিস্তানে বেশি বলে জানান তিনি। সবশেষে পাকিস্তানের বায়ুসেনার প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত।
বাংলাদেশে গত ৫ অগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটেছে। গণআন্দোলনের চাপে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন হাসিনা। বর্তমানে তিনি ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। ৮ অগস্ট বাংলাদেশে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার, যার নেতৃত্বে রয়েছেন মুহাম্মদ ইউনূস। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে ইউনূস ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছেন বলে পর্যবেক্ষকেরা মনে করছেন। কিছু দিন আগে বাংলাদেশের এক সিনিয়র সেনা আধিকারিক পাকিস্তানে গিয়েছিলেন। আলাদা করে পাক সেনাপ্রধানের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে দুই দেশের সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তাঁদের মধ্যে।
রাসেল