পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সরকারের সঙ্গে আলোচনা থেকে সরে এসেছে। এই পদক্ষেপ দেশটির রাজনৈতিক সংকট আরও গভীর করেছে এবং নতুন করে রাজপথে সংঘর্ষের আশঙ্কা তৈরি করেছে। খবর আলজাজিরার।
ইমরান খানের নির্দেশে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গহর আলী খান বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেন। রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারের বাইরে সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, সরকার পিটিআইয়ের দাবিগুলো মেনে নিতে ব্যর্থ হওয়ায় আলোচনা বন্ধ করা হয়েছে। গহর খান বলেন, দুই দিনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলো তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের দাবি ছিল আমাদের প্রধান শর্ত। কিন্তু সরকার তা নিয়ে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। অন্যদিকে সরকার বলছে, আলোচনার সময় সীমাবদ্ধতার মধ্যেই তারা জোট সঙ্গীদের সঙ্গে পরামর্শ করছিল। সরকারের প্রতিনিধি ইরফান সিদ্দিকী পিটিআইয়ের সিদ্ধান্তকে আকস্মিক ও হতাশাজনক বলে মন্তব্য করেছেন। ২০২২ সালের এপ্রিলে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ইমরান খানের সরকার পতনের পর থেকে পাকিস্তানের রাজনৈতিক উত্তেজনা ক্রমাগত বেড়েছে। এ পরিস্থিতি নিরসনে গত ডিসেম্বর থেকে পিটিআই এবং সরকারের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়। আলোচনার প্রথম তিন দফায় পিটিআই দুটি বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন এবং রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির দাবি তোলে। কিন্তু আলোচনার অগ্রগতি না হওয়ায় পিটিআই বৃহস্পতিবার আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াল। পিটিআই নেতা জুলফি বুখারি বলেন, সরকার আলোচনাকে কাজে লাগিয়ে সময় নষ্ট করছে। আমাদের প্রধান শর্ত ছিল কমিশন গঠন। সেটি না হলে আলোচনার কোনো অর্থ নেই। পিটিআই জানিয়েছে, তারা আবারও রাজপথে আন্দোলনের পরিকল্পনা করছে।