ছবি: সংগৃহীত
গোমূত্রের ‘ঔষধি গুণাবলী’নিয়ে মন্তব্য করে ভারতের শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রধান ভি. কামাকোটি বিতর্কের মুখে পড়েছেন। দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ে মাটু পঙ্গল উৎসব উপলক্ষে ১৫ জানুয়ারি এক অনুষ্ঠানে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (আইআইটি) মাদ্রাসের পরিচালক ভি. কামাকোটি দাবি করেন, গোমূত্র অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল গুণাবলীসম্পন্ন। এছাড়া এটি হজমজনিত সমস্যা এবং ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (আইবিএস) নিরাময়ে কার্যকর।
একটি ভিডিওতে কামাকোটি এক ভারতীয় সন্ন্যাসীর গল্প বলেন, যিনি নাকি উচ্চ জ্বর থেকে মুক্তি পেতে গোমূত্র পান করেছিলেন এবং মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন। তার এই বক্তব্য দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে।
কামাকোটির মন্তব্যকে “কল্পবিজ্ঞান” আখ্যা দিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন তামিলনাড়ুর শাসক দল দ্রাবিড় মুন্নেত্রা কাজাগাম (ডিএমকে) এবং অন্যান্য বিরোধী দল। ডিএমকে নেতা টি. কে. এস. এলাঙ্গোভান বলেছেন, “তাকে আইআইটি থেকে সরিয়ে কোনো সরকারি মেডিকেল কলেজে পাঠানো উচিত। আইআইটি মূলত প্রকৌশলবিদ্যার জন্য, সেখানে এ ধরনের বক্তব্যের কোনো স্থান নেই।”
কংগ্রেস নেতা কার্তি চিদাম্বরমও এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়ে বলেন, “আইআইটি মাদ্রাসের পরিচালকের এ ধরনের অবৈজ্ঞানিক মন্তব্য অত্যন্ত অনুচিত।”
তবে বিজেপি, ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল, কামাকোটির পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। বিজেপির তামিলনাড়ু শাখার সভাপতি কে. আন্নামালাই বলেন, “আইআইটি মাদ্রাসের পরিচালক কোয়ান্টাম ফিজিক্সের বিশেষজ্ঞ। তার ধর্মীয় বিশ্বাস এবং গরুর প্রতি শ্রদ্ধা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তিনি কাউকে গোমূত্র পান করতে বাধ্য করেননি। এটি রাজনৈতিক ইস্যু করা উচিত নয়।”
গরুকে হিন্দু ধর্মে পবিত্র বলে গণ্য করা হয়। ভারতের তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানমস, একটি বিখ্যাত মন্দির পরিচালনা সংস্থা, গোমূত্র থেকে তৈরি শ্যাম্পু ও সাবানের মতো পণ্য তৈরি করে।
২০২০ সালে, ৫০০-এর বেশি বিজ্ঞানী ভারত সরকারের গরুর গুণাবলী নিয়ে গবেষণার জন্য প্রস্তাবিত প্রকল্পের সমালোচনা করেন এবং একে ‘অবৈজ্ঞানিক’বলে অভিহিত করেন।
রাসেল