ছবি:- সংগৃহীত
চিনের ইউহান প্রদেশ। যে জায়গাকে বলা হয় করোনাভাইরাসের আঁতুরঘর। কেউ বলে সেখানকার গবেষণাগার থেকে ছড়িয়েছে করোনা। কেউ আবার বলে, সেখানে এক সামুদ্রিক প্রাণীর মাংসের বাজার থেকে ছড়ায় ভাইরাস। এই নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই।
২০২৫-এর গোড়ায় আবার সেই চিনেই মহাবিপদ। এবার সেখানে হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস তথা এইচএমপিভি-র দাপট ভয় দেখাচ্ছে সেরা বিশ্বকে। খুুব স্বাভাবিকভাবেই ফিরেছে করোনা আতঙ্ক। এবারও কি মহামারীর আশঙ্কা!
চিনের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, ভয়েরও কোনও কারণ নেই। বিদেশি পর্যটকদের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ চিন। তবে সারা বিশ্বে চিনের বিবৃতির গ্রহণযোগ্যতা যে আগের থেকে কমেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ফলে সিঁদুরে মেঘ দেখছে অনেক দেশই।
চিনের বিভিন্ন প্রদেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই এইচএমপিভি। জানা যাচ্ছে, এই ভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হলে সাধারণ সর্দি-কাশির মতোই উপসর্গ দেখা যায়। নাক দিয়ে লাগাতার জল পড়া, গলায় ব্যথা হয়। অর্থাৎ আপাতদৃষ্টিতে এটি ফ্লু-এর মতোই। তবে শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে তা রীতিমতো প্রাণঘাতী হতে পারে। যাঁদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাঁরাও গুরুতর অসুস্থ হতে পারেন।
চিনের তথ্য গোপন করার প্রবণতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে আগেও। এবারও কি কিছু লুকোতে মরিয়া জিনপিংয়ের দেশ? মনে করা হচ্ছে, শীতে এইচএমপিভির প্রকোপ আরও বাড়তে পারে।
চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং দাবি করেছেন, ”উত্তর গোলার্ধে শীতের সময়ে শ্বাসকষ্ট জনিত সংক্রমণ বাড়ে প্রতি বছরই। এবারও তাই হয়েছে। এতে ব্যাপক সংক্রমণের কোনও খবর নেই। চিন সরকারের তরফে নিশ্চিত করা হচ্ছে, এখানে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কোনও বিপদ নেই। না দেশবাসীর, না বিদেশিদের। নিশ্চিন্তে চিনে ঘুরতে আসতে পারেন পর্যটকরা।”
রাসেল