ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

ভূখণ্ড হারানোর আতঙ্কে ভুগছে চীন!

প্রকাশিত: ০৭:০৪, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

ভূখণ্ড হারানোর আতঙ্কে ভুগছে চীন!

চীন।

একেবারেই অপ্রত্যাশিত ও নাটকীয় বাঁক নিচ্ছে সিরিয়া যুদ্ধ। সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে ক্ষমতা বদল হলেও তার ঝাঁকুনিতে কেঁপে উঠছে ৭ হাজার কিলোমিটার দূরের চীন।

রীতিমতো ভূখন্ড হারানোর আতঙ্কে ভুগসে তারা। কিন্তু কেন?

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, সিরিয়ার বিদ্রোহিদের উত্থান একইসাথে চীনের জীনজিয়াং প্রদেশের স্বাধীনতাকামী মুসলিম উইঘুর বিদ্রোহিদেরও উত্থান। সিরিয়ার মতো চীনকেও অস্থিতিশীল করে দিতে পারে একই শক্তি। কিন্তু কীভাবে?

শুক্রবার, হংকংভিত্তিক গণমাধ্যম এশিয়া টাইমস তুলে ধরেছে এর আদ্যোপান্ত।

দীর্ঘদিন ধরেই জীনজিয়াং প্রদেশকে চীন থেকে বিচ্ছিন্ন করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উইঘুর মুসলিমরা। সেই লক্ষ্যে তৎপর একাধিক বিচ্ছিন্নতাবাদি গোষ্ঠী। অন্যদিকে কঠোরহাতে এসব তৎপরতা নির্মূলের চেষ্টা চালাচ্ছে বেইজিং।

তার অংশ হিসেবে কয়েক লক্ষ উইঘুর মুসলিমকে বছরের পর বছর কার্যত বন্দী করে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে ব্যপক সমালোচিত চীন। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ এটিকে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করে আসছে। তবে, বেইজিং তা কানেই তুলছে না।

এরই মাঝে সিরিয়ায় বাসার- আল- আসাদ সরকারকে হটিয়ে বিদ্রোহীগোষ্ঠি হায়াত-তাহরির আল সাম (এইচটিএস) এর ক্ষমতা দখলকে কেন্দ্র করে নতুন করে আলোচনায় আসছে বিচ্ছিন্নতাবাদী উইঘুররা। আর তাতেই বেইজিংয়ের কপালে দেখা দিচ্ছে চিন্তার ভাঁজ। এশিয়া টাইমস বলছে, সিরিয়ার বিদ্রোহিদের সাথে সরাসরি সংশ্লিষ্ট উইঘুর বিদ্রোহিরা। তারই জেরে, এবারে জিনজিয়াংকে চীন থেকে বিচ্ছিন্ন করার তৎপরতা শুরু হতে পারে। 

সম্প্রতি সিরিয়ায় আসাদ সরকারকে উৎখাতের লড়াইয়ে এইচটিসকে বিশেষভাবে সহযোগিতা করেছে তুর্কিস্তান ইসলামিক পার্টি (টিআইপি)। টিআইপির অনেক সদস্য কাঁধে কাঁধ রেখে লড়াইয়ে অংশ নেয়। এই টিআইপি হলো জিনজিয়াংকে চীন থেকে বিচ্ছিন্ন করতে চাওয়া বিচ্ছিন্নতাবাদি উইঘুরদের একটি সশস্ত্র সংগঠন। জিনজিয়াং ও মধ্য এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল নিয়ে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই তাদের লক্ষ্য।

সম্প্রতি সিরিয়ায় টিআইপির লড়াইকে সমর্থন জানিয়েছে তুরস্ক। উইঘুরদের উপর দমন- পীড়নের জন্য চীনের কট্টর সমালোচক তুরস্ক। সামনের দিনগুলোতে টিআইপির অন্যান্য কার্যক্রমেও তুরস্ক সমর্থন দেবে বলে মনে করেন অনেক বিশ্লেষক।

সবমিলিয়ে, জিনজিয়াং আগামীতে সংঘাত ও অস্থিতিশীলতার নতুন এক কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে এমন উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার মেঘ ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে।

রিয়াদ

×