উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা ও উসকানি বৃদ্ধির অভিযোগ করেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। তিনি বলেছেন, কোরীয় উপদ্বীপ এর আগে কখনই পারমাণবিক যুদ্ধের বড় ঝুঁকির সম্মুখীন হয়নি। শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম কেসিএনএর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এক সামরিক প্রদর্শনীতে দেয়া বক্তব্যে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা বলেন, পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে সবসময়ই আগ্রাসী ও প্রতিকূল মনোভাব রয়েছে মার্কিন প্রশাসনের।
যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ নীতির কড়া সমালোচনা করে কিম দাবি করেন, বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে ওয়াশিংটন। সেই সাথে বাইডেনের বিরুদ্ধে অভিযোগের তীর তুলে বলেন, পরমাণু যুদ্ধের জন্য উসকানি দিচ্ছে মার্কিন প্রশাসন।
তিনি বলেন, ‘কোরীয় উপদ্বীপে বিবাদমান পক্ষগুলো কখনও এতটা তীব্র ও বিপজ্জনক সংঘাতের মুখোমুখি হয়নি, যা ধ্বংসাত্মক থার্মোনিউক্লিয়ার যুদ্ধে রূপ নিতে পারে।’
কিম যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেন। ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনায় সবসময়ই পিয়ংইয়ং আগ্রাসী মনোভাবের শিকার বলেও ক্ষোভ ঝাড়েন তিনি।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে একাধিক বৈঠকের উদাহরণ টেনে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার ক্ষেত্রে যতদূর যেতে পারি ততদূরে গেছি। কিন্তু সেসব আলোচনা থেকে কেবল এটাই দেখা গেছে যে, উত্তর কোরিয়ার প্রতি তাদের আগ্রাসী ও বৈরি নীতি কখনওই বদলাতে পারে না।’
সিউলের কোরিয়া ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল ইউনিফিকেশনের রিসার্চ ফেলো হং মিন বলেন, ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের আগে কূটনীতির দরজা খোলা রেখে উত্তরের পারমাণবিক ক্ষমতার ওপর জোর দেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন কিম। নতুন করে যে কোনও ধরনের আলোচনা পুনরায় শুরু করা এবং মার্কিন বৈরী মনোভাবের পরিবর্তনের আহ্বান জানানোর আগে ট্রাম্পকে তার ‘‘সহাবস্থানের ইচ্ছা’’ দেখানো উচিত; কিম হয়তো এমন ইঙ্গিত দিতে চাচ্ছেন।
সূত্র: রয়টার্স।
আর কে