নরেন্দ্র মোদী
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কানাডার একটি হিন্দু মন্দিরে ‘ইচ্ছাকৃত হামলার’ নিন্দা জানান। শিখ সক্রিয়কর্মীদের কেউ কেউ এর জন্য দায়ী বলে দাবি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ এক বিবৃতিতে মোদী বলেন, “কানাডায় হিন্দু মন্দিরে ইচ্ছাকৃতভাবে হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। আমাদের কূটনীতিকদের ভয় দেখানোর কাপুরোষোচিত চেষ্টাও একইভাবে ভয়ংকর।”
ভারতের বাইরে কানাডা হলো “খালিস্তান”এর সক্রিয়কর্মীসহ শিখ সম্প্রদায়ের বৃহত্তম আবাসস্থল। খালিস্তান হলো শিখদের জন্য ভারত থেকে আলাদা একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন।
২০২৩ সালে ভ্যাঙ্কুভারে ৪৫ বছর বয়সী ন্যাচারালাইজড কানাডিয়ান নাগরিক হরদীপ সিং নিজ্জরকে হত্যার জন্য অটোয়া ভারত সরকারকে অভিযুক্ত করার পড়ে ভারত ও কানাডার মধ্যকার সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
যদিও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বারবার কানাডার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে এবং নয়াদিল্লি কয়েক দশক ধরে অটোয়ার বিরুদ্ধে ধর্মীয় চরমপন্থীদের আশ্রয় দেয়ার অভিযোগ করে আসছে, তবে তীব্র কূটনৈতিক বিরোধের বিষয়ে এটিই ছিল মোদীর প্রথম মন্তব্য।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এর আগে বলেছিলেন, টরন্টো থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ব্রাম্পটনে হিন্দু মন্দিরে রবিবার যে সহিংসতা হয়েছে তা ‘অগ্রহণযোগ্য’।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, খালিস্তানের হলুদ পতাকা হাতে আসা ব্যক্তিরা প্রতিদ্বন্দ্বী একটি গোষ্ঠীর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে, যাদের হাতে ভারতীয় পতাকাও রয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, বিচ্ছিন্ন হাতাহাতিও হয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এর আগে বলেন, মন্দিরে হামলা “চরমপন্থী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দ্বারা পরিচালিত” এবং কানাডাকে এই জাতীয় হামলা থেকে “সমস্ত উপাসনালয়ের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে” অনুরোধ জানান।
নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের বাইরেও কানাডা অভিযোগ করেছে, কানাডার মাটিতে শিখ সক্রিয়কর্মীদের লক্ষ্য করে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছে ভারত, যার মধ্যে ভয়ভীতি, হুমকি ও সহিংসতা অন্তর্ভুত রয়েছে।
ট্রুডো প্রধানমন্ত্রী মোদীর সরকারের বিরুদ্ধে কানাডার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছেন।
ভারত অবশ্য এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
শিহাব উদ্দিন