ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১

গাজায় রাতভর ইসরাইলি হামলা

আরও ৬৫ ফিলিস্তিনি নিহত

প্রকাশিত: ২০:৫৩, ৩ অক্টোবর ২০২৪

গাজায় রাতভর ইসরাইলি হামলা

গাজা উপত্যকার প্রধানমন্ত্রী রাহী মুস্তাহা

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের হামলায় এক রাতে নিহত হয়েছেন ৬৫ জন এবং আহত হয়েছেন আরও কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি। স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত চলা এ হামলায় নিহত এবং আহতের এসব ঘটনা। এদিকে গাজা উপত্যকার প্রধানমন্ত্রী রাহী মুস্তাহাসহ আরও দুই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে হত্যার দাবি করেছে দখলদার ইসরাইল। খবর আলজাজিরার।
ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, তিন মাস আগে গাজার প্রধানমন্ত্রী রাহী মুস্তাহা, হামাস কর্মকর্তা সামেহ আল-সিরাজ এবং সামি ওদেহকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এখন তারা নিশ্চিত হয়েছে তাদের হামলায় এই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আরও জানিয়েছে, যখন হামলা চালানো হয় তখন এ তিনজন গাজার উত্তরাঞ্চলের একটি সুড়ঙ্গে অবস্থান করছিলেন।

ওই সময় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়। ইসরাইলি বাহিনী আরও দাবি করেছে, যে সুড়ঙ্গে গাজার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন সেটিতে অনেক সুযোগ-সুবিধা ছিল এবং দীর্ঘদিন অবস্থান করার মতো রসদ ছিল। হামাসের যোদ্ধাদের যেন মনোবল না ভাঙে সেজন্য এতদিন হামাস এই তথ্য গোপন রেখেছিল বলেও দাবি করেছে দখলদার ইসরাইল। ফিলিস্তিনের বেতার সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব প্যালেস্টাইন এবং গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের গণসংযোগ দপ্তরের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে হামলা শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী।

গাজার খান ইউনিস ও তার আশপাশের এলাকায় ৪০ জনকে হত্যা এবং কয়েক ডজন ফিলিস্তিনিকে আহত করার পর উপত্যকার প্রধান শহর গাজা সিটির দিকে অগ্রসর হয় ইসরাইলি সেনারা। সেখানে তাদের হামলায় নিহত হয় আরও ২২ জন। এ ছাড়া ফিলিস্তিনের বৃহত্তম শরণার্থী শিবির নুসেইরাতের একটি স্কুলে বুধবার রাতে হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি সেনারা। সেই হামলায় নিহত হয়েছেন আরও ৩ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন ১৫ জন। বৃহস্পতিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইলি বাহিনীর গত প্রায় এক বছরের হামলায় গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪১ হাজার ৬৮৯ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন ৯৬ হাজার ৬২৫ জন।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজা উপত্যকার দুই-তৃতীয়াংশ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইউএন স্যাটেলাইট সেন্টার (ইউএনওএসএটি) ক্ষতির মূল্যায়ন হালনাগাদ করে বলেছে, সংগৃহীত অতি উচ্চ-রেজোলিউশন চিত্রাবলি থেকে দেখা যায় যে পরিস্থিতির স্পষ্ট অবনতি ঘটেছে। এই বিশ্লেষণ দেখায়, গাজা উপত্যকার মোট কাঠামোর দুই-তৃতীয়াংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাজা উপত্যকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোর ৬৬ শতাংশ মানে মোট সংখ্যা হলো ১৬৩,৭৭৮।

×