ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

বড় বড় নেতাদের পেছনে ফেলে কীভাবে দিল্লির মসনদে আতীশি? রাজনৈতিক উত্থান টা-ই বা কীভাবে হলো?

প্রকাশিত: ১৫:৪৯, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪; আপডেট: ১৬:০৩, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বড় বড় নেতাদের পেছনে ফেলে কীভাবে দিল্লির মসনদে আতীশি?  রাজনৈতিক উত্থান টা-ই বা কীভাবে হলো?

অতীশি মারলেনা।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনার সঙ্গে বৈঠকের পর পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন আম আদমি পার্টির (আপ) প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তার পদত্যাগের ঘোষণার পর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে বসবেন আতীশি মারলেনা।

এখন প্রশ্ন হলো কে এই আতীশি মারলেনা, আম আদমি পার্টির বড় বড় নেতাদের পেছনে ফেলে তিনি কীভাবে মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিজের করলেন, আপের রাজনীতিতে তার উত্থান টা-ই বা কীভাবে হলো?

৪৩ বছর বয়সী আতীশি এখন দিল্লি সরকারের শিক্ষা ও গণপূর্তমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।  দিল্লির ক্ষমতাসীন দল আপের ভেতরে বিশাল পরিবর্তন দেখা দিলে তিনি পাদপ্রদীপের আলোয় এসে পড়েন।  মূলত প্রবীণ নেতা মনীশ সিসোদিয়া ও সত্যেন্দ্র জৈন আইনি সমস্যায় জড়িয়ে পদত্যাগ করেন। সিসোদিয়া ও জৈনের গ্রেপ্তার ও পদত্যাগের দলে নেতৃত্বে শূন্যতা দেখা দেয়।

আজ দলের এক বৈঠকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আতীশির নাম প্রস্তাব করেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। পরে দলের বাকি সদস্যরা এতে সম্মতি দেন।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রী আতীশির শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি সরকারি কাজে তার অভিজ্ঞতা তাকে সুপরিচিত করেছে, বিশেষ করে শিক্ষা ক্ষেত্রে। দিল্লির শিক্ষা সংস্কারের অন্যতম স্থপতি হিসেবে তিনি আপের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনিই দিল্লির সরকারি স্কুলগুলোর উন্নতি ঘটান। কেজরিওয়াল প্রশাসনের অন্যতম সাফল্য ছিল এটি।

 নির্বাচিত বিধায়ক অতীশি ২০২৩ সালের মার্চ মাসে দিল্লির মন্ত্রিসভায় যোগ দেন। তারপর থেকে তিনি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রকল্পগুলো সামলনোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এমনকি কেজরিওয়ালের আইনি সমস্যার সময় প্রায়ই দলের প্রকাশ্য মুখ হিসেবে কাজ করেন আতীশি।

কেজরিওয়ালের আইনি সমস্যার সময়ে ২০২৩ সালের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সময় দিল্লি সরকারের অফিসিয়াল অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের জন্য অতীশিকে বেছে নেয়া হয়। যদিও দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা সেই পরিকল্পনা স্থগিত করেন।

আতীশি তার ক্যারিয়ার শুরু করেন তৃণমূল স্তরের সংগঠনের সঙ্গে কাজ করে। তারপর তিনি আপে যোগ দিয়ে দ্রুত সামনে অগ্রসর হতে শুরু করেন। শিক্ষা সংস্কারক হিসেবে তার ভূমিকা তাকে জাতীয় স্বীকৃতি এনে দেয়। দিল্লির পানি সংকট ও নারীদের সুরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করে তিনি জনসম্মুখে ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে তোলেন।

খবর এনডিটিভির।

 

তাসমিম

×