ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১

জিম্মি মুক্তির দাবিতে সড়কে লাখ লাখ ইসরাইলি

বিক্ষোভ অব্যাহত, স্থবির তেলআবিব

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:১০, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিক্ষোভ অব্যাহত, স্থবির তেলআবিব

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় বন্দি বাকি জিম্মিদের মুক্তি

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় বন্দি বাকি জিম্মিদের মুক্তির লক্ষ্যে হামাসের সঙ্গে চুক্তির দাবিতে ইসরাইলে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। কয়েকদিনের বিক্ষোভের ধারাবাহিকতায় রবিবার রাজপথে নেমেছেন ৭ লক্ষাধিক ইসরাইলি। রাজধানী তেলআবিবের কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন তারা। এতে তেল আবিব কার্যত অচল ও স্থবির হয়ে পড়েছে।

রবিবারের বিক্ষোভ ইসরাইলের সর্বকালের বৃহত্তম বিক্ষোভগুলোর একটা। তাদের দাবি, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকারকে গাজায় বন্দি ইসরাইলিদের মুক্ত করার জন্য হামাসের সঙ্গে অবশ্যই চুক্তি করতে হবে। খবর আলজাজিরার।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী গত সপ্তাহে দক্ষিণ গাজার একটি সুড়ঙ্গ থেকে ছয় বন্দির লাশ উদ্ধার করার ঘোষণা দেওয়ার পর সৃষ্ট ক্ষোভ ও হতাশা থেকে এই বিক্ষোভের শুরু। যা গত কয়েকদিনে তীব্র থেকে তীব্র হয়ে উঠেছে। গত ৩১ আগস্ট ছয় জিম্মির লাশ উদ্ধারের পর ইসরাইলজুড়ে নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয়। ডাকা হয় দেশজুড়ে ধর্মঘট। গাজা যুদ্ধ শুরুর পর ইসরাইলে এত বড় ও ব্যাপক বিক্ষোভ আগে কখনো হয়নি।

হামাসের হাতে জিম্মি ইসরাইলিদের পরিবারের সদস্যরা এবং তাদের প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলো বলছে, জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে পারে এমন একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিশ্চিত করতে নেতানিয়াহু ও তার সরকার ব্যর্থ হয়েছে। বছরের পর বছর ধরে ফিলিস্তিনি ভূমি জবরদখল এবং সেই ভূমির আদি বাসিন্দা ফিলিস্তিনিদের ওপর নজিরবিহীন নির্যাতন ও নিপীড়ন চালাচ্ছে দখলদার ইসরাইল।

এর জবাবে গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলা চালায় হামাস। হামলার পর ওইদিন ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরই গাজায় আগ্রাসন শুরু করে হানাদার ইসরাইলি বাহিনী। গত বছরের নভেম্বরে এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির সময় কয়েকজন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় জীবিত ও মৃত অবস্থায় বেশ কিছু জিম্মিকে উদ্ধার করে ইসরাইলি সেনারা।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী বলছে, গাজায় হামাসের হাতে এখনো ৯৭ জিম্মি আছেন। আর মোট মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জিম্মির। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, গাজা থেকে জিম্মিদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে চুক্তিতে উপনীত হতে বারবার ব্যর্থ হয়েছেন নেতানিয়াহু।

×