ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১

অসামাজিক কাজে জড়িত থাকায় মালয়েশিয়ায় ১১ বাংলাদেশি নারী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ১২:০৫, ৭ জুলাই ২০২৪

অসামাজিক কাজে জড়িত থাকায় মালয়েশিয়ায় ১১ বাংলাদেশি নারী গ্রেপ্তার

অসামাজিক কর্মকান্ডের সিন্ডিকেটও ধ্বংস করেছে জিআইএম।

মালয়েশিয়ায় অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকায় ১১ বাংলাদেশি নারীসহ ৭৫ জনকে আটক করেছে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট (জিআইএম)। 

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) কুয়ালালামপুর এবং সেলাঙ্গরে আটটি পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।এ ছাড়া অসামাজিক কর্মকান্ডের সিন্ডিকেটও ধ্বংস করেছে জিআইএম।

শুক্রবার (৫ জুলাই) জেআইএম মহাপরিচালক, দাতুক রুসলিন জুসোহ এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছেন। জনসাধারণের তথ্য এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে মোট ৭৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রুসলিন জুসোহ জানান, জালান তুন রাজাকের দুটি স্থানে এবং কুয়ালালামপুরের জালান পুডু নামে আরো ছয়টি স্থানে, শাহ আলমে কাম্পুং বারু সুবাং, পুচং এর পুচং টাউন সেন্টার, ক্লাং-এ তামান আন্দালাস জয়া, তামান বেয়ু এবং ক্লাং সেন্ট্রালে এ অভিযান চালানো হয়।

তিনি আরো বলেন, সিন্ডিকেটের কাজ ছিল বডি ম্যাসাজ এবং পতিতাবৃত্তির সেবা দেওয়া। “গ্রাহকরা ব্যক্তিগতভাবে প্রাঙ্গনে আসবেন এবং প্রদত্ত ক্যাটালগের উপর ভিত্তি করে বিদেশি মহিলাদের বেছে নেবেন।

এছাড়া, গ্রাহকরা টেলিগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে তাদের ছবি ব্যবহার করে বিদেশি নারীদের বেছে নিতেন বলে বিবৃতিতে জানান জিআইএম পরিচালক।

গ্রেপ্তার হওয়া ৭৫ জনের মধ্যে ৩২ জন ইন্দোনেশিয়ান নারী, ১১ বাংলাদেশি নারী, আটজন ভিয়েতনামী নারী এবং ৬ জন ভারতীয় মহিলা।

এছাড়া কর্তৃপক্ষ জানায়, সাত বাংলাদেশি, দুইজন মায়ানমার পুরুষ এবং একজন ইন্দোনেশিয়ান পুরুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বয়স ১৭ থেকে ৪৬ এর মধ্যে।২৩ থেকে ৬৫ বছর বয়সী সাতজন মালয়েশিয়ান পুরুষ এবং একজন মহিলাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
 
রুসলিনের বলেন, গ্রাহকরা যখন রুমে প্রবেশ করবেন তখন প্রাঙ্গনের তত্ত্বাবধায়ককে নগদ অর্থ প্রদান করতে হবে এবং প্রতি ঘণ্টায় ১০০ থেকে ৪০০ রিঙ্গিত পরিশোধ করা হত।

তিনি আরো বলেন, পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ১৩ জন ইন্দোনেশিয়ান মহিলা এবং চার ভিয়েতনামী মহিলা যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের বৈধ পাসপোর্ট ছিল। দুইজন ইন্দোনেশিয়ান মহিলা এবং একজন ভিয়েতনামী মহিলা অতিরিক্ত অবস্থান করেছিলেন। রুসলিন বলেন, আটক অন্যান্য বিদেশিদের দেশে থাকার বৈধ ভ্রমণ নথি বা পাসপোর্ট ছিল না।

অপারেশন টিম একটি মোবাইল ফোন, ১৫টি ইন্দোনেশিয়ান পাসপোর্ট, ৫টি ভিয়েতনামী পাসপোর্ট, কম্পিউটারের একটি সেট এবং ১০টি গ্রাহক নিবন্ধন কাজের বই ও নগদ অর্থ জব্দ করা হয়েছে।

পরিচালক বলেন, যে সকল বিদেশিকে আটক করা হয়েছে, তারা অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩, পাসপোর্ট আইন ১৯৬৬ এবং ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯৬৩ এর অধীনে অপরাধ করেছে। তাদের আরো তদন্তের জন্য সেমেনিহ ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে। 

এছাড়া সাতজন মালয়েশিয়ান পুরুষ এবং একজন নারীকে প্রাঙ্গণের তত্ত্বাবধায়ক হিসাবে কাজ করছেন তাদের ৫৬(১) (ডি) এবং ১৯৫৯/এর অভিবাসন আইনের ৫৫ই ধারার অধীনে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

 এসআর

×