ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১

ভারী বৃষ্টিতে ভেঙে পড়ল আরও ৩ সেতু

প্রকাশিত: ১৪:৫৬, ৪ জুলাই ২০২৪

ভারী বৃষ্টিতে ভেঙে পড়ল আরও ৩ সেতু

বৃষ্টিতে একের পর এক সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটছে।

ভারী বৃষ্টিতে আরও ৩টি সেতু ভেঙে পড়েছে। বৃষ্টিতে একের পর এক সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটছে। মূলত এ নিয়ে গত ১৫ দিনের মধ্যে ভারতের বিহার রাজ্যটিতে মোট ৯টি সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটল।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিহারে বুধবার অন্তত আরও তিনটি সেতু বা কজওয়ে ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ৩০ থেকে ৮০ বছর আগে এই তিনটি কাঠামো তৈরি করেছিল।

অবশ্য সিওয়ান ও সারান জেলায় বুধবার সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব অবশ্য অভিযোগ করেছেন, একদিনে চারটি সেতু ভেঙে পড়েছে এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও তার ডেপুটিরা এ বিষয়ে নীরব রয়েছেন।

এমন অবস্থায় রাজ্যের সমস্ত পুরোনো সেতুগুলো নিয়ে সমীক্ষা চালাতে এবং মেরামতের প্রয়োজন এমন সেতুগুলোকে অবিলম্বে চিহ্নিত করতে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার রাজ্যটির সড়ক নির্মাণ বিভাগ (আরসিডি) এবং গ্রামীণ পূর্ত বিভাগকে (আরডব্লিউডি) নির্দেশ দিয়েছেন।

ডব্লিউআরডি’র অতিরিক্ত মুখ্য সচিব চৈতন্য প্রসাদ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘বুধবার সিওয়ান এবং সারানে যে সেতু/কজওয়েগুলো ভেঙে পড়েছে তার কিছু অংশ খুব পুরোনো। এসব কাঠামো প্রয়োজনীয় মানদণ্ড অনুসরণ করে তৈরি করা হয়েছে বলে মনে হয় না। এছাড়া সেতুগুলোর ভিত্তিও যথেষ্ট গভীর ছিল না বলে মনে হচ্ছে, কারণ বন্যার সময় এই কাঠামোগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।’

এনডিটিভি বলছে, প্রথমে সিওয়ান জেলার দেওরিয়া ব্লকে গণ্ডকী নদীর ওপর নির্মিত ছোট সেতুর একটি অংশ ভোর ৫টা নাগাদ ভেঙে পড়ে। ডেপুটি ডেভেলপমেন্ট কমিশনার মুকেশ কুমার বলেন, ‘দেওরিয়া ব্লকের সেতুর একটি অংশ আজ সকালে ভেঙে পড়েছে। এর কারণ উদঘাটনে তদন্ত করা হচ্ছে।’

পরে জেলার তেঘরা ব্লকে আরেকটি ছোট সেতুরও একই পরিণতি হয়েছে বলে জানা গেছে। বারবার চেষ্টা করা সত্ত্বেও, সিওয়ানের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের এ বিষয়ে মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে সারানের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আমান সামির জানিয়েছেন, সারানে আরও দুটি ছোট সেতু ভেঙে পড়েছে। তিনি বলেন, ‘জনতা বাজার এলাকায় একটি ছোট সেতু ভেঙে পড়েছে, এর বয়স ১০০ বছর। লাহলাদপুর এলাকায় ভেঙে পড়া আরেকটি সেতু ২৫ বছর আগে নির্মিত। এই ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

স্থানীয় লোকজনের ধারণা, গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ এসব ছোট ব্রিজ ভেঙে পড়ার কারণ হতে পারে। মূলত গত ১৫ দিনে ভারতের এই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সেতু ভেঙে পড়ার ১০টিরও বেশি ঘটনার খবর পাওয়া গেছে।

তাসমিম

×